জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি দপ্তরে সহকারি কমিশনার (ভুমি) সহ গুরুত্বপুর্ন দপ্তর চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। এর কারণে কাঙ্খিত সেবা থেকে বি ত জনসাধারণ।
জানা গেছে, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. আরাফাত হোসেন অন্যত্র বদলি হওয়ায় তার দপ্তরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চলছে।উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ভুমি সংক্রান্ত খাজনা খারিজ, মিউটেশন, ডিসিআর সহ বিভিন্ন কাজ করতে প্রতিদিন অফিসে আসে।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার তার দপ্তরের কাজের ব্যস্ততায় চাহিদা মাফিক সময় দিতে পারেন না। এছাড়াও উপজেলা সরকারি বরাদ্দের অতীব গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তর এখানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র বদলি হলে সেই দপ্তরটিও চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে অডিটর মো. আলী আকবর জানান, কর্মকর্তা না থাকলেও সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু রেজা আসাদুজ্জামান জানান, ৯টি ইউনিয়নে ২৭ জন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পদ রয়েছে। সেখানে রয়েছে ১৮ জন। ৯ জনের পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হলে সেখানেও দপ্তরটি চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে।
এছাড়াও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান মন্ডল অন্যত্র বদলি হলে দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. সাইজ উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে বদলি হলেও ফুলবাড়ি থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চলছে ছেড়াতালি দেওয়া দপ্তরটি। প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্য দেয়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে উপজেলা সমন্বয়কারীর পদটি দীর্ঘদিন থেকে না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চলছে কার্যক্রম।
বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক পরামর্শে দপ্তরের সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) বর্তমান দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ।
ভুক্তভোগীরা জানায়, অচিরেই বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ২০১৯ বছরের সরকারি দপ্তরের কাঙ্খিত সেবা জনগনকে দিতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি দপ্তরগুলো সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জনতার আলো/সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.