জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার জয়ন্ত কুমার এর সাথে বিয়ের দাবীতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রেমিকার অনশন।
জানা গেছে পার্শ্ববর্তী চিরির বন্দর উপজেলার সুরইল গ্রামের মৃত্যু পুলিং চন্দ্রের পুত্র বর্তমান নবাবগঞ্জ উপজেলা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে একই উপজেলার ঢাকইল গ্রামের কাচুরাম রায়ের মেয়ে উষা রায় এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিল।
এর মধ্যেই জয়ন্ত কুমার নবাবগঞ্জ শাখায় ক্যাশিয়ার হিসাবে চাকুরী হয়। উষা রায় জানায় মোবাইল ফোনে ও সরাসরি তার সাথে একাধিকবার গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক। দীর্ঘদিন ধরেই জয়ন্ত বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে মিলা মিশা করে আসছে। বিয়েতে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এদিকে গোপনে জয়ন্ত একই উপজেলার আরেক পরিবারে বিয়ে করার জন্য নিরীক্ষন করে।
এ বিষয়টি উষা রায় জানতে পেরে তার লোকজন সহ দুপুরে ব্যাংক শাখায় আসে। কর্ম শেষে ক্যাশিয়ারকে কৌশলে বিয়ের দাবীতে উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় বিষ্ণু মন্দিরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ক্যাশিয়ার তার সাথে প্রেমের সর্ম্পক অস্বীকার করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানা থেকে পুলিশ ক্যাশিয়ার ও উষা রায় কে থানায় নিয়ে আসে। থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার জানান মেয়েটি ন্যায় বিচার চেয়ে চিরির বন্দর থানায় জয়ন্ত কে বিবাদী করে অভিযোগ দিয়েছে। পরে চিরির বন্দর থানা পুলিশের নিকট জয়ন্ত ও উষা কে তুলে দেয় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় জয়ন্ত কুমার জানান তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। নবাবগঞ্জ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ নজমুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ক্যাশিয়ারের বিয়ের বিষয়টি তার ব্যাক্তিগত । তবে বিয়ের দাবীতে মেয়েটি দুপুর থেকে তার ব্যাংক শাখায় বসে ছিল। বর্তমানে ক্যাশিয়ার ছুটিতে রয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাশিয়ারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান চিরির বন্দর থানায় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে শালিশ বসছে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি সমাধা হয়নি বলে নবাবগঞ্জ ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক জানান।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.