জনতার আলো, সালাউদ্দীন মুন্না, নাজিরহাট প্রতিনিধি: শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা, সুযোগ সুবিধা, দাবি দাওয়া ইত্যাদি দেখভাল করার জন্য প্রতিষ্টিত হয়েছিল ট্রাক মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন।
মালিক অথবা শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই বাছাই করে কার্যালয়ের বৈঠকে মিমাংসা করা হতো।রাজনৈতিক প্রভাবে এখন আর তা হচ্ছেনা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। নিজে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।
ড্রাইভার রহিম তার মালিক রহিম মাঝি প্রকাশ মনা মাঝির ছেলে মানিকের কাছে কাজের হিসাব শেষ করে পাওনা টাকা আদায় করতে বলে। মানিক রমজানে বলছিলো ঈদের পর হিসাব করা হবে কিন্ত হিসাব না করায় দুইজনের মাঝে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মানিক রহিমের দিকে ভারী বস্তু নিয়ে তেড়ে আসলে দুর্ভাগ্যক্রমে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে নিজে নিজের আঘাতে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। গতকাল নতুন রাম্তার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। মানিককে তৎক্ষণাৎ নাজিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ এসে ড্রাইভার রহিমকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক সমিতির সদস্যরা মিমাংসা করবে এ শর্তে রহিমকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। বিকাল চারটায় নতুন রাস্তার মাথা কার্যালয়ে বৈঠক বসার কথা ছিলো।
এ সময় বহিরাগত কিছু মানুষকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অনেক বাকবিতন্ডার পর সন্ধা সাতটা একটি স্টাম্পে দুইজনের সাক্ষর নেওয়া হয় এবং মালিকপক্ষ ড্রাইভার রহিমের কাজের হিসাব সম্পন্ন করে দ্রুত টাকা আদায় করার ওয়াদা করে।
জনতার আলো/রবিবার, ১৫ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.