জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বহুল আলোচিত নির্ভয়া হত্যা ও গণধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজাই বহাল রেখেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় আগেই চার জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত চার জনের মধ্যে তিনজন একটি রিভিউ পিটিশনে তাদের ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানায়। সেই আর্জি খারিজ করে সোমবার ফাঁসির সাজাই বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের প্যারামেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া। গণধর্ষণের পরও চলে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন। এরপর নির্ভয়া ও তার বন্ধুকে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা দেয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়া নির্ভয়াকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানেই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এই ঘটনার পর দেশ-বিদেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। বিক্ষোভ চলতে থাকে রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে। প্রাথমিকভাবে তার (জ্যোতি) নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়। নির্ভয়া বা দামিনী নামেই তার উল্লেখ করা হয় সংবাদমাধ্যমে। পরে প্রকাশ্যে আসেন তার মা-বাবা। মেয়ের নাম-পরিচয়ও জানান তারা।
ওই ধর্ষণের ঘটনায় ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে চার অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। হাইকোর্টেও এই রায় বহাল থাকে। তবে আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে চার অপরাধী অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত ও মুকেশ। ২০১৭ সালের ৫ মে সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির সাজাই বহাল রেখেছিলেন শীর্ষ আদালত।
গত বছরের নভেম্বরে অপরাধীদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, ‘মৃত্যুদণ্ড দেয়া মানে বিচারের নামে ঠান্ডা মাথায় খুন করা। বহু দেশে মৃত্যদণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সভ্য দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের কোনও স্থান নেই।’ শুনানিতে তিনি জানান, এরা কেউই জন্মগত অপরাধী নয়। এর আগে কোনও অপরাধের সঙ্গে এদের নাম জড়ায়নি। ঝোঁকের বশে হঠাত্ই এমন কাজ করেছে তারা।
একটি রিভিউ পিটিশনে তাদের ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানায় তিন অপরাধী। আজ সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির সাজাই বহাল রেখেছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
সূত্র: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা
জনতার আলো/সোমবার, ০৯ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.