জনতার আলো, আসিফ ইমরান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার ভোগডাবুড়ী তহশিল অফিসে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি জমে উঠেছে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএস খতিয়ানের প্রতি তোয়াক্কা না করে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করে একই জমির একাধিক বার খাজনা রশিদ প্রদান ও খারিজে নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আভিযোগ দায়ের করেও কোন ফল পায়নী।
সূত্রে জানা গেছে, জেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা মহিব্বে আলী খন্দকার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ১১/০২/১৮ তারিখে নিজ ভোগডাবুরী মৌজার জে এল নং ৪ বি এস খতিয়ান নং ১২১৬ দাগ নং ১১০২১ জমির পরিমাণ ৭ শতাংশ জমির একটি খাজনার চেক প্রদান করে।
যাহার চেক নং ৭১৪৭৪৪। তিনি একই সময় একই জমির উপর বি এস খতিয়ানের ৭ শতাংশ জমিকে ৮ শতাংশ করে আরেকটি খাজনার চেক প্রদান করে। যাহার চেক নং ৭১৪৭৪৫।
ওই জমির মালিক মনছুর আলী দুলাল খাজনার রশিদ দুটি নিয়ে ১৩/০২/১৮ তারিখে চিলাহাটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দুটি দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করে। দলিল নং ৩৬৪ ও ৩৬৫।
দলিল প্রাপ্ত গ্রহীতা তার ক্রয়কৃত জমি দখল নিতে অন্যর বাস্ত ভিটা নিয়ে বড় ধরনের সংঘাতের আসংঙ্খা রয়েছে। মনছুর আলী দুলাল জানান, দলিল সুত্রে ভোগডাবুরী ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খাজনার চেক গ্রহন করি।
একই জমির দুটি খাজনার চেক গ্রহন করা নিয়ে তিনি কোন উত্তর দিতে রাজি নন। অপর দিকে, সরকারী বিধি অনুযায়ী খারিজ করতে ডিসিআর ফি ১১৫০ টাকা নির্ধারন থাকলেও ওই তহশিল অফিসে র্দীঘদিন থেকে খারিজের নামে প্রতেকের কাছ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মর্মে একধিক অভিযোগ রয়েছে।
খারিজে সরকারী ফি ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কথা বলে ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। ওই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মহিব্বে আলী খন্দকার জানান, সচিবালয় থেকে আমাকে লাইসেন্স দেওয়া আছে। আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে পারেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
জনতার আলো/রবিবার, ২০ মে ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.