জনতার আলো, আপেল বসুনীয়া, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলার চিলাহাটি খাদ্য গুদামের ক্রয়কৃত নিলামের চাল বিভিন্ন ইউপির মাধ্যমে ভিজিডি কার্ডধারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। খাওয়ার অনুপযোগী নিলামের চাল পেয়ে কার্ড ধারীরা পানির দামে বিক্রি করে দিচ্ছে।
ইউপি কর্তৃপক্ষ খাদ্য গুদামে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।জানা গেছে, চিলাহাটি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজিলা বেগম ১৫ সালে যোগদানের পর থেকে একটি দালাল চক্রর মাধ্যমে কম দামের নিলামের চাল ক্রয় করে গুদাম জাত করে।
এরই মধ্যে তার দিনাজপুর বদলীর অর্ডার আসে। সেই সূত্রে ২৬ ডিসেম্বর নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে ওবায়দুল হক যোগদান করে। নতুন কর্মকর্তা যোগদানের প্রায় চল্লিশ দিন অতিবাহীত হলেও ফজিলা বেগম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে স্ব-পদে বহাল রয়েছে।
এই সুযোগ হাতে পেয়ে তিনি গুদামের ভিতর রক্ষিত খাওয়ার অনুপযোগী নিলামের চাল গুলি বিভিন্ন ডিও মাধ্যমে ডেলিভেরী দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। একটি নিভরশীল সূত্র জানান,চিলাহাটি খাদ্য গুদামের চালের বিভিন্ন লর্ড গুলির ভিতরে নি¤œমানের চাল গুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। গুদামের লর্ড গুলি ভেঙ্গে ভিতরের চাল গুলি যাচাই করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
গত রবিবার ভোগড়াবুরী ইউনিয়নে ভিজিডির চাল পাওয়া ৪নং ওয়াড়ের ২৪২নং কার্ডধারী আমিনা, ৫ নং ওয়াড়ের ৩১২নং কার্ডধারী সুমনা,৭নং ওয়াড়ের ৪০৩ নং কার্ডধারী হাসনা,৯ নং ওয়াড়ের ৫২১নং কার্ডধারী মিনারা জানান, ভিজিডি কার্ডের যে চাল পেয়েছি তা খাওয়ার মত নয়।
নিরুপায় হয়ে গরুর খাদ্য হিসাবে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এই রুপ অভিযোগ কেতকীবাড়ী, জোড়াবাড়ী ও গোমনাতী ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদেরও রয়েছে। ভোগডাবুরী ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান জানান, কার্ডধারীদের পাওয়া নিলামের চাল গুলি দেখেছি।
বিস্তারিত জানার জন্য চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সপ্না জানান, দুই টাইম মহিলা মেম্বার হিসাবে থাকা কালিন সময় এবারের মত নিলামের চাল আগে কখনো বিতরণ করা হয়নী।
ইউপি চেয়ারম্যান এক্রামুল হক জানান, খাদ্য গুদাম থেকে যে চাল দেওয়া হয়েছে সেই চালেই বিতরণ করা হয়েছে। গত দুই মাস থেকে চিলাহাটি খাদ্য গুদাম নিলামের চাল সরবরাহ করে আসছে।এব্যাপারে প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাইনী।
চিলাহাটি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজিলা বেগম কে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ করেনী। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেন জানান, কোন অভিযোগ পাইনী তবে ব্যাপারটি আমি দেখছি।
চিলাহাটি খাদ্য গুদামে নি¤œমানের চাল নিয়ে একাদিক বার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে।
জনতার আলো/শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.