জনতার আলো, মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে র্যাব-১৩ এর ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (২০ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের বড়বাজার, গাছবাড়ি ও বড়বাজার ট্রাফিক মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদ তামান্না।
নীলফামারী ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. মোতাহার হোসেনের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. আল আমীন রহমান, পৌরসভা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এস.এম মর্তুজ আলী।
নীলফামারী ক্যাম্পের অধিনায়ক বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র্যাব-১৩ জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এসময় ভোক্তাদের কাছে পঁচা, বাসি খাবার পরিবেশন এবং ভেজাল ফলমূল ও মেয়াদ উর্ত্তীন পণ্য বিক্রয়সহ ওজন কম দেওয়ায় ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এর মধ্যে নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশনের অপরাধে গাছবাড়ি এলাকার তৃপ্তি হোটেলকে তিন হাজার টাকা, মেয়াদ উর্ত্তীন বিভিন্ন খাদ্য পন্য বিক্রয়ের দায়ে একই এলাকার মজুমদার স্টোরকে দুই হাজার, নোংরা পরিবেশে খাদ্য পরিবেশনের দায়ে বড়বাজারে কাউছার হোটেলকে এক হাজার পাঁচশ’, মেয়াদ উর্ত্তীন্ন খাদ্য পন্য বিক্রয়ের দায়ে একই বাজারের রশিদ স্টোরকে দুই হাজার পাঁচশ’, ওজন কম দেওয়ায় বড় বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী প্রকাশ রায়কে দুই হাজার, সাদেক হোসেনকে দুই হাজার, পঁচা আম বিক্রয়ের দায়ে বড় বাজার ট্রাফিক মোড়ের ফল ব্যবসায়ী রূপচাঁনকে এক হাজার পাঁচশ’ ও আরমান আলীকে পাঁচশ’ এবং নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরী ও পরিবেশনের দায়ে রুচি হোটেলকে এক হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন দন্ডপ্রাপ্তরা।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ তামান্না বলেন, ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদ উর্ত্তীন বিভিন্ন খাদ্য পন্য ধ্বংস করা হয়।
জনতার আলো/সোমবার, ২১ মে ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.