জনতার আলো, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখায়‘স্বাধীনতা পদক’ প্রাপ্তিতে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে আনুষ্ঠানিক নাগরিক সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়।
রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন,‘আমার অর্জিত স্বাধীনতা পদকটি নীলফামারীবাসীকে উৎসর্গ করলাম।
তিনি আরও বলেন,‘আমি নীলফামারীর সন্তান, এখানকার আলো বাতাসে আমি বড় হয়েছি, এলাকার মানুষের ¯েœহ মমতা, ভালোবাসা, সহযোগিতা সমর্থন আমাকে নিজের দুই পায়ের ওপর দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। আমার শিক্ষক মন্ডলী যাঁরা, তাঁরা আমার জীবন গড়ার জন্য প্রতি মুহুর্তে অবদান রেখেছেন।
আমার পিতা মাতা তাঁদের ¯েœহ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, সমস্ত জীবন দিয়ে আমাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। আরেকজন মানুষ আমার ফুফু যিনি এখন খুবই অসুস্থ্য তিনি আমাকে পরম মমতায় বড় করেছেন। আসলে আপনাদের সকলের ভালোবাসা, সকলের ¯েœহ, সকলের মমতাই আমার শক্তির যায়গা।’
নীলফামারী নাগরিক পরিষদের আহবায়ক ডা. মমতাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুজিবুল হাসান চৌধুরী।
এসময় বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম দাস, সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, জেলা যুবলীগের সভাপতি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ প্রমুখ।
মন্ত্রী কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘আমি নীলফামারী কলেজে যখন পড়ি তখন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছিলাম। সকলের সমর্থনে আমি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম।
আপনাদের সমর্থন সহযোগিতা, দোয়া ও আশির্বাদে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদেরকে ছাড়া আমার নির্বাচন করা সম্ভব ছিল না। জেলার সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন ছিল বলে আমি আজ এই অসামান্য যায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।’
জেলার এই প্রিয় মানুষটির সংবর্ধনায় নীলফামারী শহীদমিনার চত্ত্বরটি কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কোথাও তিলঠাঁই ছিল না। নেমেছিল মানুষের ঢলে।
এ সময়, জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী ও সরকারি বেসরকারি সংস্থার সহ সর্বস্তরের সহ¯্রাধীক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
জনতার আলো/রবিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.