জনতার আলো, মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি : একাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী -৩ জলঢাকা আসনে কে হচ্ছেন ২০ দলীয় জোট বা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর শক্তঘাটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটিতে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াত থেকে দেওয়া হলেও এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জামায়াতের সমর্থনে দু’বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আলী সদ্য বিএনপিতে যোগদান করায় নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মনে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
তার এই হঠাৎ যোগদানে আলোচনার ঝড় উঠেছে নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র। শেষ পযর্ন্ত কে হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট বা জোটের প্রার্থী ? এবারে এ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জামায়াতের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট,পৌর বিএনপি’র সভাপতি আহম্দে সাঈদ চৌধুরী ডিডু ও সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী।
২০দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশি জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলীর সদ্য বিএনপিতে যোগদানের ব্যাপারে পৌর বিএনপির সভাপতি আহমেদ সাঈদ চৌধুরী ডিডু বলেন,রাজনৈতিক ভাবে তিনি প্রথমে বিএনপিতে সুবিধা নিয়েছেন, পরে জামায়াতে যোগ দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন আবারও তিনি নতুন করে সুবিধা নেওয়ার জন্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এতে করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট বলেন,র্দীঘদিন ধরে হামলা-মামলা ও নির্যাতন সহ্য করে দলের দায়িত্ব পালন করছি এছাড়াও এই নির্বাচনী এলাকায় আমার বাবার একটি বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। দল আমাকে মনোনীত করলে বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ্। দলে সদ্য যোগদান করা উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যাপারে তিনি বলেন, উনি সুবিধাবাদী, জামায়াতের সুবিধা নিয়ে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে এখন বিএনপিতে। দলের দূর্দিনে তিনি থাকবেন না।
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুল গনি বলেন,উপজেলা চেয়ারম্যানের দলত্যাগে জোটে বা জামায়াতের ভোটে তেমন কোন প্রভাব পরবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত ও নবম সংসদ নির্বাচনে জোটের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম বলেন ‘১৯৯৬ সালে নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াতের ৩ টি আসনের মধ্যে জলঢাকা একটি। এখানকার জামায়াতের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন মামলা হামলায় জর্জ্জরিত। ২০০৮ সাল থেকে আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছি,তাই ২০ দলীয় জোট আমাকে মনোনীত করবেন বলে আশা করছি। এছাড়া এই আসনে বিএনপি’র প্রার্থী কখনও জিতে নাই। সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী বলেন, আমি জলঢাকা বাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে পর-পর দু’বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছি। ২০ দলীয় জোট আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এ আসনটি জোটকে উপহার দিতে পারব।
জনতার আলো/শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.