জনতার আলো, মোঃ হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলায় বয়ে গেছে ছোটবড় প্রায় ২৫ টি নদ-নদী। ভৌগলিক ভাবে হিমালয়ের পাদদেশের জেলা পঞ্চগড়।
হিমালয়সহ ভারতের বিভিন্ন পাহাড় থেকে বয়ে আসা এই নদ-নদীর উৎপত্তি। সর্ব শেষ উত্তরে পঞ্চগড় জেলার ভুগর্ভস্থ সর্ব প্রকার ছোট বড় নুড়ি পাথর যেমন সারা দেশে নাম কামিয়েছে।
তেমনি করে প গড় জেলার মহানন্দা, করতোয়া, ডাহুক, চাওয়াই নদীসহ সব নদী হতে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু দেখলে দুচোঁখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন নদী হতে উত্তোলন করা বালু পঞ্চগড় জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ট্রাক এসে উত্তোলন কৃত বালু ক্রয় করে নিয়ে যায়।
এদিকে কাক ডাকা ভোর থেকে স্থানীয় বালু শ্রমিকরা শীতের প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে জীবন বাচার লক্ষে জীবিকার প্রয়োজনে নদীতে নৌকা নিয়ে বালু উঠানোর জন্য নেমে পরে।
সারাদিন ঠান্ডায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে নদী হতে বালু উত্তোলন করে তা দিয়ে তাদের জীবন কোর রকমে চলে। পরিশ্রমের তুলনায় মজুরী পায়না বালু উত্তোলন কারি শ্রমিকেরা।
মধ্যস্বত্বভোগীরা (স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী) কমমূল্যে শ্রমিকদের নিকট হতে বালু ক্রয় করে নির্ধারিত কোন জায়গায় স্তুপ করে দেশের বিভিন্নস্থানে ভালো দামে বিক্রী করে। অথচ শ্রমিকরা বহুকষ্টে নদী হতে বালু উত্তোলন করে বি ত হয় মজুরী থেকে।নদী হতে বালু উত্তোলনকারী বালু শ্রমিকদের মজুরীর সঠিক কোন নিয়মনীতি নেই।
আমতলা, অমরখানা, বোদাপাড়া, কাকপড়া, ময়নাগুড়ি, মাড়েয়া, বোদাসহ করতোয়া নদীর পাড়ের গ্রামের বালু শ্রমিক পহিরুল এবং ইসলাম উদ্দিন বলেন হামরা (আমরা) অনেক সাকালে উঠে (সকালে) নাও (নৌকা) খান আর ঢাকি (ডালি) নিয়া তহবন শাটে (লুঙ্গী) নদীত নামেহেনে পানির তলত (তল) থাকি বালু উঠাই।
হামরা টিক মতন দাম পাইনা। পেটের দায়ে প্রচন্ড ঠান্ডায় অনেক কষ্টে নদী হতে বালু উত্তোলন করতেছে অথচ সারাদিনের কাজ শেষে উচিৎ মূল্য পাচ্ছে না শ্রমিকেরা।
পঞ্চগড় এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান জানান পঞ্চগড় জেলায় ছোট বড় ২৫ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর বালু গুনগত মান খুবই ভালো।
পঞ্চগড়ের বালু বেশ মোট দানা থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বালুর চাহিদা বেড়ে গেছে। দেশের বাহিরে পঞ্চগড়ের বালুৃ রপ্তানী বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সাথে মিটিং হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বালু দেশের বিভিন্ন নির্মান কাজে ব্যবহারসহ দেশের বাহিরে রপ্তানী করা হলে প গড়ের বালু শ্রমিক এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে এমন কথা বালু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বালু ব্যবসায়ী বলেছেন।
জনতার আলো/শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.