জনতার আলো, মো: হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রেমিকার বাড়িতে সেনা সদস্য আটকের ঘটনা ঘটেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় পঞ্চগড়ে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কামাত পাড়া ইদ্রিস আলীর কলেজ পড়ুয়া কন্যা মোছা: খুকুমনির সাথে গত দু’বছর ধরে প্রেম করছিল কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের দফাদার পাড়া গ্রামের মো: মশিউর রহমানের পুত্র সৈনিক মো: আশরাফুল ইসলাম ইমন।
গতকাল ০৮/০৬/২০১৮ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ১০.ঘটিকায় সেনা সদস্য মো: আশরাফুল ইসলাম প্রেমের সম্পর্কের টানে খুকুমনির সাথে দেখা করতে খুকুমনির বাসায় ছুটে আসে।
এ সময় খুকুমনি বাড়িতে একা বসেছিল, খুকুমনির সাথে একান্তে সংগোপনের সুযোগ পেয়ে সেনা সদস্য আশরাফুল ঘরের ভিতর আলাপচারিতায় লিপ্ত হয়।
এরপর খুকুমনির সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে এবং খুকুমনির বাসায় একটি ঘরে সেনা সদস্য আশরাফুলকে আটক করে এলাকাবাসী।
ঘটনার খবর পেয়ে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জাহাঙ্গীর ও মহিলা কাউন্সিলর দিলখুশা প্রধান বিল্পবী, ইদ্রিস আলীর বাসায় ছুটে যান।
সকাল ১১ টা হতে মধ্যরাত পর্যন্ত পঞ্চগড় পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জাহাঙ্গীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে পক্ষের সাথে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালান। এদিকে সেনা সদস্যের এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
মেয়ে পক্ষের লোকজনের দাবী সেনা সদস্য মো: আশরাফুলকে এই মুহুর্তে বিবাহ সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু ছেলেপক্ষ থেকে মো: মশিউর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান এই মহুর্তে আমার ছেলের বিবাহ সম্পন্ন হইলে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে চাকুরীর সমস্যা হইবে।
এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হইলে তিনি জানান এটা আসলে গ্রামের ব্যাপার সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নির্দেশ দিলে সেনা সদস্য মো: আশরাফুল ইসলাম ইমন মেয়েটিকে বিবাহ সম্পন্ন করিবেন বলে একটি ডিড (চুক্তিপত্র) হয়েছে।
এদিকে কলেজ পড়ুয়া মেয়ের চাচাত ভাই মিঠু গণমাধ্যম কর্মীদের মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন আমি গতকালের সেনা সদস্যের ঘটনায় সুবিচার পাইনি এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় প্রেমিকার পরিবারের পক্ষ হইতে আইনী কি পদক্ষেপ নেয় সেটি এখন দেখার বিষয়?
জনতার আলো/শনিবার, ০৯ জুন ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.