জনতার আলো, মো: হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে বর্তমানে রমজান মাসকে সামনে রেখে জমে উঠেছে খেজুর সহ বিভিন্ন ফলের বাজার। রমজানে রোযা রেখে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারে অন্য খাবারের তুলনায় খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশী।
আর পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ে খেজুর সহ বিভিন্ন ফলের বাজার ইতিমধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে। এই মাসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা কয়েক মাস আগে থেকে বিষেশ করে খেজুর আমদানি করে থাকেন।
গত এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে প্রদিকেজি খেজুরের দাম বেড়েছে ৩০/৪০ টাকা। অন্য খেজুরের দাম বারলেও এবার তুলনামূলক স্থিতিশীল আছে মাঝারি এবং কম মান সম্পন্ন খেজুরের দাম।
রমজান মাস শুরু হলে দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে ফল ব্যবসায়ীরা। সংশ্লীষ্ট সূত্রে জানা গেছে রমজান মাসকে ঘিরে বাজারে খেজুরের প্রচুর চাহিদা থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান চাহিদার বেশীরভাগ খেজুর আমদানী হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে।
তবে আরো কয়েকটি দেশ থেকেও খেজুর আমদানী করা হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাযায় উত্তা লের মধ্যে পঞ্চগড়েই খেজুরের সবচেয়ে বড় বাজার।পঞ্চগড়ের বিভিন্ন মোকাম থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা খেজুর সংগ্রহ করে ব্যবসা করেন।
পঞ্চগড় ছাড়া অন্যান্য জেলা শহরের আমদানী কারকরা খেজুর আমদানী করলেও মূল মোকামে বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন মান এবং দামের খেজুর থাকলে ইরাকের বিভিন্ন জাতের খেজুর এবং দুবাই’র ১০ কেজি কার্টুন প্যাকেট খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশী।
এপর্যন্ত মোকাম গুলোতে জাহিদি ১০ কেজি কার্টুনের দাম ৯২৫, নাজাল ১০ কেজি কার্টুনের দাম ১ হাজার ২ শত, থেকে ১৩০০, দাবাশ ১০ কেজি কার্টুনের দাম ১৮ শত থেকে ২ হাজার ২ শত, রেজিস ১০ কেজির কার্টুনের দাম ১৫ শত থেকে ১৬ শত, তিউনিশিয়া ৬ কেজি কার্টুন এর দাম ২ হাজার ৩ শত টাকা।
এগুলো ছাড়াও বাদাম ৪০০ গ্রাম খেজুরের প্যাকেটের দাম ৮০ টাকা। গত মরজান মাসে ৫ ও ৯ কেজি প্যাকেটে আশা, মরিয়ম খেজুর, মদিনা খেজুর, মাবরুন খেজুর এখনো পঞ্চগড়ের মোকামগুলোতে আসেনি। খেজুর ব্যবসায়ীরা জানান রমজানের বাজারে সবচেয়ে বেশী চাহিদা থাকে ইরাকি বস্তা খেজুরের।
এই বস্তা খেজুর গত বছর বাজার থেকে পাইকারিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার প্রতিকেজি বিক্র হচ্ছে ৭০ টাকায়। পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ীরা জানান এবার ইরাকি বস্তা খেজুরের আমদানী বেশী হওয়ায় বাজারে দাম একটু কম।
আর এই কারনে ক্রয় মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে আরও বিভিন্ন মানের খেজুর আছে এবং বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে।
তবে এসব খেজুর আশে বিভিন্ন আমদানীকারদের মাধ্যমে যদি আরো বেশী পরিমানে খেজুর আমদানী হত তাহলে খেজুরের আরো কম দামে খেজুর কিনতে পারত ভোক্তারা।
জনতার আলো/শনিবার, ১২ মে ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.