জনতার আলো, মো: হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা আমাদের পঞ্চগড়। উত্তর জনপদের শেষ প্রান্তে সবুজ শ্যমল ভূমি বেষ্টিত জেলা আমাদের পঞ্চগড়ে।
আমাদের জেলার উত্তরে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাই গুড়ি জেলা এবং নাম প্রসিদ্ধ শিলীগুড়ি শহর। দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও জেলা। পূর্বে ভারতের কুচ বিহার রাজ্য ও নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পূর্ণিয়া জেলা।
এই জেলার আয়তন প্রায় ১৪০৫.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় আগাম শীত অনুভতি হয়। শীতকালে পঞ্চগড়ে জেলা শহরের প্রায় ৫ থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ তাপমাত্রা নেমে আসে।
আবার গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বিরাজ করে। এই জেলায় প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, গম, পাঠ, ভূট্রা, আলু, আঁখ, মরিচ, তিল, সরিষা, বিভিন্ন জাতের ডাল ও শাক-সজবী উল্লেখ যোগ্য।
তাছাড়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মসুচির আওতায় কৃষি কার্ড বিতরন কৃষি যন্ত্র পাতিতে ভূর্তকি প্রদান আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহার সুষম মাত্রার সার ব্যবহার সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি সহ কৃষকের আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ব্যপক উন্নতি হয়েছে এটা সত্যি।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃষি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সকল ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়নে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নতি হয়েছে। এখন শিক্ষিত যুবকরা কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
যা ইতি বাচক, তাছাড়া আমাদের প গড়ের কমলা ও মাল্টা চাষে নতুন দিগন্ত প গড় জেলা সর্বশ্রেষ্ট কৃষি জেলা হিসেবে উপাধি দেওয়া যেতে পারে। কারন এই জেলায় নতুন নতুন কৃষি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এই জেলা থেকে প্রতি বছর বানিজ্যিক ভাবে কমলা চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য বেশ উপযোগি। তবে খুব যত্ন সহকারে চাষ করতে হয়।
অত্র জেলায় প্রায় ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত সাইট্রস উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭৩ হেক্টর কমলা এবং ১৯ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়াও বসত বাড়িতেও লেবু ও বাদামী লেবুর চাষ উল্লেখ যোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষিবীদরা জানান পঞ্চগড়ের মাটিতে সব ধরনের বাগান বা ফসল ফলানো খুবই সহজ। এ জেলার মাটিতে আম, কমলা, লিচু, চা-বাগান, তেছপাতা চাষের উপযোগি ৫ উপজেলাতেই।
অথচ দেখুন বেশি টাকার লোভে কিছু অসাধু মানুষ এই জেলাকে ধ্বংষের মূখে ঠেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা অলস। বা স্বার্থান্বেষী বলা যেতে পারে, বর্তমানে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন অ লের ফসলির জমির বুক চিরে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফিট গভীর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করার করাণে ঐ এলাকায় আর কোন ফসল হচ্ছে না।
যেখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে সেখানে ফসল তো দুরে থাক আগাছাও সেখানে জন্মায় না। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ ও তথ্য দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না ঐ এলাকার কৃষক ফলে এখন তারা নির্বাক হয়ে চুপচাপ দিন-আতিপাত করছে।
তার পরেও ঐ এলাকার কৃষকরা গনমাধ্যম কর্মীদের জানান এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধ না হলে অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশবিদদের কথা অনুযায়ী তেঁতুলিয়া উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকা তীব্র ভূমিকম্পে ৩০ ফিট মাটির গভীরে তলিয়ে যেতে পারে।
জনতার আলো/বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.