জনতার আলো, সুভাস দাস, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী ইট ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন আইন অমান্য করে বন উঁজার, সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরের মাটি কেটে সাবাড় ও দৈর্ঘ-প্রস্থে মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ক্রায়তাদের কাছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভাটা মালিকরা উপর মহল ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় স্ব স্ব খেয়াল খুশি মতো সংরক্ষিত আবাসিক জনবসতি এলাকার মধ্যে, বানিজ্যিক এলাকা, বনভুমি, জলাভূমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘা ঘেষে ও কৃষি জমিতে অবৈধ ভাবে গড়েউটছে ইট ভাটা, পাজা ভাটা এবং ক্লিন ভাটা স্থাপন করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছেন বীরদর্পে। পটুয়াখালীতে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটা, পাজা ইট ভাটা ও ক্লিন ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলোতে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কয়লার পরিবর্তে পটুয়াখালী ইট ভাটা মালিকরা ইট তৈরি ক্ষেএে ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ। ফলে উঁজাড় হয়ে যাচ্ছে এলাকার বনভূমি। এত কিছুর পরেও থেমে নেই ইট বাটার মালিকরা। প্রায় প্রত্যেক ইট ভাটায়ই সরকারী পরিমাপের চেয়ে অনেক কম পরিমাপের ইট প্রস্তুত’র অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। সাধারন জনগন জানান, খেঁজুর গাছ ও এর রস এখন গল্পে পরিণত হয়েছে। কাঁঠ দিয়ে । রেন্ডি করাই,খেঁজুর, মিখর গুণী, ইত্যাদি।কাঁঠ দিয়ে পুরানো হয়ে থাকে ইট ফলে পরিবেশ দূশন, গচ্ছে। সাধারন মানুষ জানান বেশির ভাগ খেঁজুর গাছ ইট,ভাটায় পুড়িয়ে ফেলার কারনে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্যহীণতাও দেখা দিয়েছে। ইট প্রস্তুতে সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরের মাটি, কৃষি জমির মাটি কেটে একটি চক্র ভাটায় বিক্রি করার ফলে নতুন করে নদী ভাঙনের ও ফসল জমির আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এসব পরিবেশ দেখলে মনে হবে এখানে সরকারি কোন আইন চলে না, চলে ভাটা মালিকদের গড়া নিজস্ব আইন কানুন। ভাটার বিষাক্ত ধুলো বালি, কালো ধোঁয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ বনজ সম্পদ এবং মাতৃত্ব হারাচ্ছে ফলদ গাছ। ভাটার আগুনের তাপে উর্বরতা হারিয়ে দিন দিন অভিশপ্ত মরুভুমিতে পরিণত হচ্ছে ফসলি জমি, ফলে চরমভাবে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকার শিশু সহ সব বয়সের মানুষ। বির্পযয়ের মুখে পতিত হচ্ছে এলাকার জনস্বাস্থ্য। ভাটা গুলো লোকালয়ের একেবারে নিকটবর্তী হওয়ার কারনে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। ইট পোড়ানোর ঝাঁজালো উৎকট গন্ধে ভারি হয়ে আসে এখানকার বাতাসে। পটুয়াখালী ইট ভাটাসহ সিংহভাগ ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে পরিবেশের ভারষাম্য রক্ষা কবচ বৃক্ষ। পাশাপাশি শিশুদের দিয়ে প্রায় বাটায় কাজ করানোর মাধ্যমে মানা হচ্ছে না শিশু শ্রম আইন। এই সমস্ত ইট ভাটার মালিকরা উঠে পড়েলেছে, বনভূমি উঁজাড় করার উৎসবে তারা মেতে রয়েছেন। বিদ্যালয়ের পাশে জনবসতি এলাকার কৃষি জমিতে গড়ে উটছে ইট ভাটা, ব্রিকস স্থাপন করায় ওই বিদ্যালয়গুলোর কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন,এগুলোতেও পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।অনুসন্ধানের সময় ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে প্রতি বছর লোক দেখানো দায়সাড়া অভিযান পরিচালনা করায় কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা এসব অবৈধ ইট ভাটা ও ভাটার কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা, স্থাণীয় কিছু স্থানীও ক্ষমতা শালী ও সরকারি কিছু অবৈধ কর্মকতা এবং নামধারী সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই ভাটা মালিকরা অবৈভাবে ভাটাগুলো পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে এলাকার সচেতন মহল পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কাছে ইট প্রস্তুত আইনের সঠিক প্রয়োগ কামনা করেছেন।
জনতার আলো/সোমবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.