জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীতে ভারতের বাঁধের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় কোনো খবর বা বিনোদনের অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারবেন না পাকিস্তানের ক্যাবল টিভি অপারেটররা।
এ বাঁধগুলো তাদের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ডন পত্রিকা জানিয়েছে, ইউনাইটেড প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা একটি রিটের শুনানি শেষে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার শনিবার এ রায় দেন।
বাঁধ নির্মাণের কারণে ভারতের চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার। তিনি বলেন, পাকিস্তানের দিকে বয়ে যাওয়া নদীতে ভারত বাঁধ দেওয়ায় এই রায় যথাযথ হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় চ্যানেল প্রচারে লাহোর হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা বাতিল করে নতুন এ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। লাহোর হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে বিচারপতি নিসার বলেছেন, ‘ওরা আমাদের পানি বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা কেন ওদের চ্যানেল বন্ধ করতে পারব না?’
ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও বলিউডের সিনেমা পাকিস্তানে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু, দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে এর আগেও ভারতের চ্যানেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের জেরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। পরে ২০০৮ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সে দেশের দেশের আদালত। তবে বিক্ষিপ্তভাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হচ্ছিল। এরমধ্যে কাশ্মির ইস্যুকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ভারতের সব টিভি এবং রেডিও চ্যানেল নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। এখন নতুন করে আবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৮০ ভাগেরও বেশি সেচভিত্তিক কৃষিজমি সিন্ধু নদ ও এর উপনদী, শাখানদীর ওপর নির্ভরশীল। আর এসব নদীর অধিকাংশেরই উৎস হিমালয় পর্বতমালা।
জনতার আলো/সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.