জনতার আলো, প্রযুক্তি ডেস্ক: সম্প্রতি বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন প্লে স্টোর থেকে মুছে দিয়েছে গুগল। বিশেষজ্ঞের দাবি, এসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো বেশ বিপজ্জনক ছিল। যার কারণেই হয়তো গুগল এমন ব্যবস্থা নিয়েছে।
চলুন দেখে নেয়া যাক কোন অ্যাপ্লিকেশনগুলো মুছে দিয়েছে গুগল-
২০১৬ সালে বাজারে এসেছিল গুগলের গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ গুগল স্পেসেস। কিন্তু খুব একটা কার্যকরী হয়নি। হ্যাকারদের পক্ষে এ অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি করা সহজ ছিল। হয়তো সে জন্য এ অ্যাপটি সরিয়ে নিয়েছে গুগল।
গুগল ইনবক্স নামের অ্যাপটি ২০১৪ সালে বাজারে এসেছিল। গুগল জানিয়েছিল, পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি আনা হয়েছিল। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এ অ্যাপ বন্ধ করে গুগল।
২০১৪ সালে ফিটনেস অ্যাপ ফেসবুক মুভস আসে বাজারে। এই অ্যাপও তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুগল ইউআরএল শর্টেনার ২০০৯ সালে এনেছিল গুগল, সেটিও তুলে নেয়া হয়েছে।
গুগল ট্যাঙ্গো, স্মার্টফোনের ক্যামেরা উন্নত করার জন্য এসেছিল এ পরিষেবা। তবে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে এ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ফেসবুক হ্যালো, ২০১৫ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যালো অ্যাপ এসেছিল। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে ফোনের কন্ট্যাক্ট ইনফো সংযোগের কারণেই খুব সম্ভবত হ্যাকিংয়ের আশঙ্কায় এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফেসবুক এম পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এসেছিল ২০১৫ সাল নাগাদ। অসংখ্য ব্যবহারকারীও ছিলেন। ইভেন্ট ক্রিয়েট করা বা আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা হতো এ অ্যাপ। একই অবস্থা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ারবাই নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রেও। তবে অ্যাপ্লিকেশনগুলো বিপজ্জনক ছিল বলেই মনে করা হয়।
গুগল প্লাস, গত অক্টোবরে এ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আসার পর তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গুগল ব্লব ইমোজি, ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে-তে এ পরিষেবাকে বিদায় জানায় গুগল। বলা হয়, ‘ব্লবলেস প্লেস’-এর কথা। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ইয়াহু মেসেঞ্জার তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে।
জনতার আলো/সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.