জনতার আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটপাত থেকে পছন্দের শার্ট কিনবেন এক তরুণ। পছন্দও হয়েছে। কিন্তু গায়ের সঙ্গে ফিট হবে কি না দেখে নিতে চান। পরণের টিশার্ট খুলে নতুন শার্ট গায়েও দিলেন, কিন্তু কেমন লাগছে দেখবেন কী করে? লুকিং গ্লাস তো নেই। তাই পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করে ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করে দেখে নিলেন নতুন শার্টটিতে কেমন মানাচ্ছে তাকে।
বিক্রেতাও বললেন, ’জোস হয়েছে মামা, এক্কেরে ফিট। আপনার সঙ্গে মানাইছে, নিয়া লন’।
এ চিত্র দেখা যায় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্ত্বর থেকে ২ নম্বরের দিকে যেতে ফুটপাতে। এখানে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি করছেন অপেক্ষাকৃত কম দামে। বিশেষ করে তরুণদের টিশার্ট, জিন্স ও গ্যাবাডিন প্যান্ট। রয়েছে মেয়েদের নানা রকমের জামা ছোটদের পোশাকও।
বৃহস্পতিবার শেষ সময়ে ক্রেতার ভিড়ে সেখানে পা ফেলা দায়। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে পছন্দের পোশাকটি চায়ই চাই। বিক্রেতারাও খুশি।
শুক্রবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শনিবার ঈদ। দেশজুড়ে তাই সবার মধ্যেই চলছে ঈদ উৎসব পালনের তোড়জোড়। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনা কাটা।
রাজধানীতে অভিজাত বিপণীবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সবখানেই চলছে জমজমাট বেচাকেনা। এরমধ্যে ফুটপাতের দোকানগুলোতে চলছে একচেটিয়া বিক্রি।
বিক্রেতারা বলছেন, এখন আখেরি অফার চলছে। এখন শেষ সময় বেশি দর কষাকষি করছি না, মোটামুটি মিলে গেলেই ছেড়ে দিচ্ছি।
রাজধানীর গুলিস্থান, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মতিঝিল, মিরপুর, ফার্মগেট সবখানেই চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনা।
নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি এসব দোকানে ভিড় করছেন মধ্যবিত্তরাও।
মিরপুরে ১১ নম্বর বাজারে কথা হয় আবদুল আলিমের সঙ্গে। ভ্যানে করে বিক্রি করছেন ছোটদের বাহারি রংয়ের কাপড়। তিনি জানান, সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড়, থাকে রাত পর্যন্ত। বেচাকেনা এখন জমজমাট।
তিনি জানান, বিক্রি ভালো করতে চাই, এজন্য বেশি দরদাম করছি না। অল্প লাভে মাল ছেড়ে দিচ্ছি। এটা অনেকটা আখেরি অফারের মতো। কম দামে সুন্দর জিনিস।
কথা হয় আলেয়া বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, জামা বানাতে দিছি টেইলার্সে। আজ দেয়ার কথা। দিতে এসছিলাম। এই ফাঁকে ওড়না আর হিজাব কিনতে এলাম। এখানেও ভাল পণ্য পাওয়া যায়।
তার মতে, একই ধরনের পণ্য মার্কেটে গেলে এর চেয়ে বেশি দাম চায়। কিন্তু এখানে একটু কম দামে পাওয়া যায়।
নিজের জন্য বেল্ট কিনতে এসেছিলেন আদিল । তিনি বলেন, চামড়ার বেল্ট তো সব জায়গায় পাওয়া যায়। তবে এখানে কিছুটা দাম কম। এজন্য কিনতে এলাম। একটি চায়না বেল্ট ১৮০ টাকায় নিলাম। মার্কেটে গেলে আড়াইশ’র কমে পাওয়া যেত না।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.