কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার এর বিরুদ্ধে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দুই পদে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে এলাকাবাসী সহ সুশীল সমাজের অভিযোগ যখন উঠেছে বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত হোক।
অনুসন্ধানে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালে এম পিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী ও ৩ শতজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। আমি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছি। বিধি অনুযায়ী আমি ২০১৭ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হই। পরে ২০২৩ সালে আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হলে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। আমি নিয়োগ প্রাপ্ত হই। নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পরে আমি প্রধান শিক্ষকের বেতন পাচ্ছি। কারন বেতন হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। এক জন শিক্ষকের নামে দুই শিক্ষকের বেতন হওয়া বা উত্তোলনের কোন সুযোগ নাই। আপনার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ কি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সিনিয়র শিক্ষক রজিনা আক্তার বলেন, অনুমানিক ৭ থেকে ৮ মাস হলো আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য আছে সেটা আমরা জানি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল ইসলাম বলেন, ধরে নেন আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করলেও প্রধান শিক্ষকের বেতন শুরু হয়েছে অনুমানিক মে মাসে। জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত সে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন সে পেয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষকের বেতন হলে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে, কারন একই ইনডেক্স নাম্বারে দুই টা বেতন হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তার পরেও অভিযোগ যখন উঠেছে আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখবো।