মান্দায় অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীদের মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক আজিজুল হক ওরফে ওয়ালটন বাবু। বুধবার বিকেলে উপজেলার ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের চকজামদই মোড়ে তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মমতাজ হোসেন, তালিম হোসেন,মুজাহিদুল ইসলাম,শামসুর সোনার,মোশারফ হোসেন,রাকিব হোসেন,এনামুল হক,জয়নাল আবেদীন এবং আব্দুল কুদ্দুসসহ ২ নং ভালাইন বিএনপি,যুবদল,কৃষকদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পেশায় তিনি একজন ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি সুনামের সহিত ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন। অপরদিকে, প্রভাবশালী ইজারাদারের লোকজন নিয়মবর্হিভূতভাবে আত্রাই নদীর মদনচক ও লক্ষীরামপুর মৌজায় অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছেন। এতে নদী তীরবর্তী হাট বাজার,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির,একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি,বসতবাড়ী ও অভয়াশ্রম নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার উপক্রম।
এছাড়াও সম্প্রতি লক্ষীরামপুর এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে পড়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দায়ের করার পরেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় গত ৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের বানডুবি হাজী ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। এরপর বানডুবি বাজার হতে মদনচকের দও পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এতে তিনি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় শতাধিক লোকজন অংশ নেয়। এ ঘটনায় একাধিক জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গত ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মান্দার আত্রাই নাদীর বিভিন্ন ভাঙ্গন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আলম মিয়া ও এসিল্যান্ড শারমিন জাহান লুনা। সম্প্রতি তা আমলি আদালতের নজরে আসে। পরে আরও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ আদালতের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত, মান্দা) রবিউল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
পরবর্তীতে ইজারাদার রহমতুল্লাহ ও তার সহযেগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ নভেম্বর সোমবার মান্দা উপজেলা প্রেস ক্লাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কথিত হলুদ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার এবং মাহবুবুজ্জামান সেতু নামে একজন পেশাদার সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেন। যার কোন সত্যতা নেই। যেসব হলুদ সাংবাদিক বালু ব্যাবসায়ীদের উস্কে দিয়ে এসব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন তারাই মূলত চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তদের কাজই হচ্ছে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজি করা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চাদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা পিবিআই তদন্ত করছেন। এছাড়াও গণেশপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কার্য্যালয়ের নথি চুরির ও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অথচ, আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পূর্ব আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমরা উক্ত মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।