জনতার আলো, বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনেতা দিলদার। ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যার অভিনয়ে পদার্পণ। এরপর অসংখ্য ছবিতে তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ ছবির জন্যে পেয়েছিলেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’।
ওই বছরেরই ১৩ জুলাই পরিবার ও অসংখ্য ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে পরপারে যাত্রা করেন দিলদার। তারপর কেটে গেছে ১৫ বছর। কিন্তু তার শূন্যস্থান কেউই পূরণ করতে পারেননি। এ অভিনেতার শুন্যতা বুঝিয়ে দেয়, দিলদাররা কালে কালে আসেন না। সেই কিংবদন্তী কৌতুক অভিনেতাকে ছাড়া এখনকার বাংলা চলচ্চিত্র যেন অনেকটা তরকারিহীন ভাতের মতোই।
শুধু কৌতুক অভিনেতা হিসেবে নয়, নায়ক হিসেবেও রূপালী পর্দায় হাজির হয়েছেন দিলদার। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আব্দুল্লাহ’ ছবিতে তখনকার সুপারহিট নায়িকা নতুনের বিপরীতে নায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাকে। সেই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দিলদার। দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল দিলদার-নতুন জুটির সেই প্রেমের ছবিটি।
অভিনেতার মৃত্যুর এত বছর পরে কেমন আছে তার পরিবার? প্রয়াত দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। থাকেন ঢাকার ডেমরায়। সেখানে দিলদারের করে যাওয়া পাঁচতলা একটি বাড়ি রয়েছে। মাঝে মাঝে তিনি থাকেন দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজের সঙ্গেও। দিলদার-রোকেয়া দম্পতির এই দুটি মাত্রই সন্তান।
বড় মেয়ে মাসুমা আক্তার একজন দাঁতের ডাক্তার। তার ছেলে পড়ছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেয়ে পড়ছে ক্লাস সেভেনে। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ। তিনি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। বড় মেয়ে মাসুমা স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে থাকেন চাঁদপুরে, আর ছোট মেয়ে জিনিয়া চাকরি সূত্রে থাকেন ঢাকার নিকেতনে।
জনতার আলো/শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.