জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে দাম বাড়ছে কাশ্মিরি শাল, গ্রীন টি, শেভিং ব্লেড, শেভিং জেল, চুলের ক্রিম, চশমার ফ্রেম, সানগ্লাস, লুব্রিকেটিং অয়েল, বিভিন্ন রকম পেপার, সিগারোট পেপার, সানস্ক্রিন, সিরামিক বাথটাব, কাজুবাদাম, ক্যালন্ডোর, পোস্টার, জার্সি, শীতের পোশাক, মোবাইল, ব্যাটারি, চার্জার, ইউপিএস, আইপিএস, সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য, পলিথিন, প্লাস্টিক ব্যাগ, মোড়ক, ল্যাম্প হোল্ডার এবং নারিকেলের।
এছাড়া হেলিকপ্টার সেবার উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ। মদ-বিয়ারের ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি ও জর্দা-গুলের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।
আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আমদানি করা ৬ হাজারেরও বেশি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অন্যদিকে ছোট ফ্ল্যাট কেনায় ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে এবারের বাজেটে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৫১ মিনিটে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম এবং নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট পেশ শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এর আগে মন্ত্রিসভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ১২তম ও বাংলাদেশের ৪৭তম বাজেট। বাজেটে মোট জিডিপির আকার ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২৯৩ কোটি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে দাম কমছে পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, দেশীয় মোটরসাইকেল, প্লাস্টিক ও রাবারের চপ্পলের। এছাড়াও ওষুধ শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ কমবে।
ব্যাংকিং খাতে কর্রোরেট কর কমানো হচ্ছে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে পারে সুদ হার। আরও কমবে কৃষিজমিতে রেজিস্ট্রেশনের খরচ।
এছাড়াও কমবে এনার্জি সেইভিং লাইট, টমেটো সস, ফলের জুস, গুড়ো দুধ, শিশু খাদ্য, স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি রেফ্রিজারেটর, এসি, মোটর সাইকেল ও আমদানিকৃত হাইব্রিড গাড়ি ও টায়ারের।
পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবং তালিকাবর্হিভূত প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪২ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ০৭ জুন ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.