বৃষ্টিতে সবজির বাজার চড়া, বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দামও


জনতার আলো প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ১২:৪৮ অপরাহ্ন /
বৃষ্টিতে সবজির বাজার চড়া, বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দামও

জনতার আলো, অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক : টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমের অজুহাতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় আটা, চাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম বেড়েছে। আর এখনো বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে চিনিসহ অনেক নিত্যপণ্য।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে দুইদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এদিকে শীতের সময়ে সবচেয়ে কমদামে থাকার কথা যেই সবজির, সেই ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।

এছাড়াও বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ কেজি। দুইদিন আগেও এই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

দাম প্রসঙ্গে লালবাগের খাজে দেওয়ান কাঁচাবজারের শাক বিক্রেতা মাসুদ  বলেন, সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে খুব বেশি শাক পাইনি। কম করেই এনেছি, এরমধ্যেই আমার লাভটা বের করে নিতে হবে। আমাদেরও তো পরিবার সংসার আছে, দুইটা টাকা যদি লাভ না করতে পারি, তাহলে ব্যবসা করে কী লাভ।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ ১৫ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ২৪০ টাকা, আগের সপ্তাহে পণ্যটির দাম ছিলো ২৩০ টাকা। এছাড়া আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে আজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওদিকে চাল ও আটার দামও বেড়েছে। মোটা চাল ও প্যাকেট আটার দাম কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে।

মাছের বাজার

সিলবারকাপ মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, রুই মাছ ৩০০ টাকা ও বড় রুই ৬০০ টাকা কেজি। কাতল ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৩০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। কই মাছ ২২০ টাকা, ছোট শিং মাছ ৫০০ টাকা ও বড় শিং মাছ ১০০০ টাকা কেজি। পোয়া মাছ ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। পাবদা ৩৫০, চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা কেজি। টেংড়া মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও বড় ইলিশ মাছ ৩০০০ টাকা কেজি আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১২০০ থেকে ১৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারও গরম

গুড়া হলুদের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা আর গুড়া মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৪০ টাকা কেজি, লবঙ্গ ২৮০ টাকা, গোলমরিচ সাদা ৯৮০ ও কালোটার কেজি ৬২০ টাকা, এলাচ ১৭৫০ টাকা, জিরা ১০০০ টাকা কেজি,জেতপাতা ২০০ টাকা আর আদার কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।

চালের বাজার

স্বর্না চালের বোস্তা ২৩০০ টাকা, মিনিকেট, ৩১০০ থেকে ৩১৫০ টাকা, বিআর ২৮ এর বোস্তা ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা।পাইজাম ২৬০০, নাজিরশাইল ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। আর পোলার চাল কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

জনতার আলো/শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩/শাহানা