জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে ১৭ জন। বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রভাবিত প্রায় চার লাখ মানুষ।
তবে ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। মণিপুরে বন্যায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার আসামের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা ও ভূমিধসে চারজন মারা গেছে।
আসামের সাতটি জেলা জুড়ে চলছে বন্যার তাণ্ডব। বানভাসী জেলাগুলো হলো হোজাই, কার্বি আংলং পূর্ব, কার্বি আংলং পশ্চিম, গোলাঘাট, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি এবং কাছার। চলতি বছরে এটাই প্রথম বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হাইলাকান্দির। এখানেই বন্যা প্রভাব ফেলেছে প্রায় ২.০৬ লাখ মানুষের ওপর। এরপরেই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি করিমগঞ্জের। বন্যা ও ধসের কারণ বন্ধ রয়েছে লামডিং-বদরপুরের মধ্যে রেল যোগাযোগ। আক্রান্ত জেলাগুলিতে সড়ক, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
আসামের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, সোয়ার চার লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।৭১৬টি গ্রাম ইতোমধ্যেই পানির তলায়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩,২৯২ হেক্টর শস্যক্ষেত। গুয়াহাটির চার জায়গাতেও ধস নেমেছে, তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। পাঁচ জেলায় ২১৩ ত্রাণ শিবির ও বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে এক লাখ বন্যা দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছে।
জনতার আলো/রবিবার, ১৭ জুন ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.