জনতার আলো, জয়নাল আবেদীন রিটন, জেলা ব্যুরো চীফ, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহহীন পরিবারের জন্য বিনামূল্যে ঘর নির্মাণে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি অর্থায়নে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো অর্ধেকের চেয়ে বেশি কাজ বাকি রয়েছে।
এদিকে এ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কথা বলে সুবিধাভোগি প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন গৃহহীন পরিবারের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে শিমুলকান্দি ইউনিয়নে ৩৪৮টি হতদরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বিনামূল্যে এসব ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এলাকার আছির মেম্বার ও চেয়ারম্যান তাদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে এক বছরেও অর্ধেকের চেয়ে বেশি সুবিধাভোগি এখনো তারা সরকারের দেয়া বিনামুল্যের ঘর পায়নি। অসহায় পরিবারগুলো বলেন,‘ঘর দেওয়ার জন্য শুরুতে নামের তালিকা করা হয়। কিন্তু ১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় ঘর পাইনি। যারা টাকা দিয়েছে, তাদের ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।’
এব্যাপারে শিমূলকান্দি এলাকার ইউপি সদস্য আছির মেম্বার হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন ঘর আসলে গৃহহীনরা ঘর পাবে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তার বিরোধী প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে এলাকায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ঘর দেয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে কোন পয়সা নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে,ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী ফয়সল বলেন, বিনামূল্য হতদরিদ্র গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। ঘরের জন্য কেউ টাকা নিয়ে থাকলে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জনতার আলো/শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.