জনতার আলো, জয়নাল আবেদীন রিটন, জেলা ব্যুরো চীফ, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যবসা প্রতিষ্টানের কর্মচারি রনবীর সাহা (৩৭)র লাশ উদ্ধার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। নিহত ব্যাক্তি ভৈরব বাজারের মেসার্স বিকাশ চন্দ্র সাহা এন্ড আদার্স ব্যবসা প্রতিষ্টানে কাজ করত। সে ব্রাহ্মণবাড়িার নবিনগর থানাধিন শ্যামগ্রামের মৃত রঞ্জিৎ সাহার ছেলে। রনবীর সাহা তার বাবা মা স্ত্রীসহ দীর্ঘদিন যাবৎ টিনপট্টি এলাকায় বিস্কুট গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত।
রনবীরের মা রীনা রানী সাহা জানান, আমার ছেলে রনবীরকে বুধবার বিকেলে সাড়ে চারটার সময় পাইকার এসেছে বলে দোকানের লোকজন ডেকে নিয়ে যায়। সেই থেকে সে নিখোঁজ রয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাছঁটার সময় খবর পাই আমার ছেলে মারা গেছে। আমি যতটুকু জানতাম মালিকের সাথে দোকানের হিসাব নিয়ে গরমিল থাকায় মনমালিন্য চলছিল। আমার ছেলের কাছে যদি তারা টাকা পাওনা হত তাহলে আমরা যে ভাবেই হোক পাওনা টাকা পরিশোধ করতাম। আমার ছেলেকে কেন তারা খুন করল।
রনবীরের স্ত্রী মিতু রানী সহা বলেন, আমার স্বামী দীঘদিন যাবৎ বিকাশ বাবুর দোকানে হিসাব রাখার কাজ করত। হিসেবে গরমিল আছে বলে কিছু দিন যাবৎ মালিকের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আমার স্বামী আমাকে বলেছিল আমার খাতায় হিসেবে কোন গরমিল নেই। মালিক বলছে হিসেবে গরমিলের কারণে আমাকে অনেক টাকা ফেরৎ দিতে হবে। বিকাশ বাবুর ছেলে সৌরভ ও তার লোকজন আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার এ এস আই মো ঃ হোসেন জানান, আমরা বিকেল সাড়ে তিনটার সময় পুরাতন কেবিনের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে রনবীরকে গুরুতর অশুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চিকিৎসা চলার বিশ মিনিটের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে আমরা নিহতের লাশ থানায় নিয়ে আসি। আজ সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মেসার্স বিকাশ চন্দ্র সাহা এন্ড আদার্স ব্যবসা প্রতিষ্টানে গেলে বন্ধ পাওয়া যায়। সাইনবোর্ডের গায়ে মোবাইল দেয়া ০১৭১১-৫৩৮৯৯১ নাম্বারে ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
জনতার আলো/শুক্রবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.