জনতার আলো, স্পোর্টস রিপোর্টার: বিশ্বকাপে বিশ্ব কাঁপে। মেসি-নেইমার-রোনালদোদের পায়ের কারুকাজে বিশ্ব মাতে। প্রিয় দলের গোলের উৎসবে মেতে উঠবে ভক্ত-সমর্থকরা। একমাস বিশ্বকাপে বুঁধ হয়ে যাওয়ার দিন চলে এসেছে। ১৪ জুন রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে কিক অফের বাঁশি বাজিয়ে দেবেন রেফারি। স্বাগতিক রাশিয়া আর সৌদি আরবের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যাবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বিশ্বকাপ ফুটবলের ২১তম আসরের লড়াই।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর ১০দিনও বাকি নেই। আয়োজক রাশিয়াও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছে। রাশিয়ার ১১ শহরের ১২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচ। পুরো রাশিয়া ঘুরে সেই লুঝনিকি স্টেডিয়ামেই ১৫ জুলাই সমাপনির মাধ্যমে চাদর টেনে দেয়া হবে বিশ্বকাপের। তার আগে বিজয়মঞ্চে সোনালি ট্রফিটা নিয়ে মেতে উঠবে বিশ্বজয়ী ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপের জ্বরে ইতিমধ্যেই কাঁপতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। নিজের দেশ নেই বিশ্বকাপে। আদৌ কখনো খেলতে পারবে কি না সেই নিশ্চয়তা নেই। তাই বলে কি বিশ্বকাপে হাতগুটিয়ে বসে থাকা যাবে! প্রিয় দল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন কিংবা ফ্রান্সের পতাকা টানানো চলছে পাল্লা দিয়ে। কেউ কেউ তো কয়েক কিলোমিটার লম্বা পতাকা বানিয়ে প্রিয় দলের প্রতি নিজের অগাধ ভালোবাসা আর সমর্থণ জানিয়ে দিচ্ছে।
যারা সারাবছর খেলাধুলার কোন খোঁজ-খবরই রাখে না, তারাও বিশ্বকাপের সময় হয়ে ওঠে এক একজন বিশেষজ্ঞ। প্রিয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাতেও প্রস্তুত সব সময়। ফুটবলপাগল ভক্ত-সমর্থকদের কথা চিন্তা করে এ দেশের মিডিয়াও বসে থাকে না। নানান আয়োজনের পসরা সাজিয়ে বসেন তারাও। পত্রিকাগুলো বের করে বিশেষ ম্যাগাজিনের।
তবে এখন হচ্ছে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগ। প্রিন্ট করা মোট আর্ট পেপারের চকচকে ম্যাগাজিনটা হয়তো দেখতে সুন্দর; কিন্তু মানুষ এখন দারুণ ব্যস্ত। প্রিন্ট করা ম্যাগাজিন পড়ার সময় কই। অবসরের ফাঁকে মোবাইলের স্ক্রিনেই চোখ বুলিয়ে নেয়। জেনে নেয় বিশ্বের নানা কবর। কেউ বা অফিসে, বাসায় বসে কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রাখে। মোট কথা প্রযুক্তির এই যুগে প্রিন্টের চেয়ে অনলাইনই পাঠকের অনেক বড় ভরসার জায়গা।
জনতার আলো/সোমবার, ০৪ জুন ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.