জনতার আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী আইন সৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সম্মিলিত অভিযানে বড় বড় রাগব বোয়াল যখন ধরা পড়েছিলো, চিহ্নিত তালিকাভোক্ত মাদক ব্যাবসায়ীরা মাদকসহ আটক হয়েছিলো, আবার কেউ কেউ বন্ধুক যুদ্ধে অথবা ক্রস ফায়ারে মারা গেলো, কোন কোন স্হানে ভুল তথ্যে দু একজন মারাগেলেন, এমনকি আইন-সৃংখলা বাহিনীর জড়িত সদস্যরাও বাদ যায়নি ঐ অভিযানে। তখন আমাদের থানার পুলিশ প্রতিটা মাদক স্পটে গিয়ে সায়রণ বাজিয়ে বাজিয়ে সতর্ক করলেন,,,সুযোগ দিলেন,,,বর্তমান ওসি মহদয় প্রত্যেক মাদক ব্যাবসায়ী মাদক স্পটের তালিকা করে সেখানে মাদক বিরোধী সভা–সেমিনার করলেন,, অন লাইন অফলাইনে বার বার সতর্কবার্তা দিলেন। কে শুনে কার কথা,,,দরকার টাকার,,,আবার কারো দরকার নেশার,,,তারপর আমরা দেখলাম কিছু মাদক ব্যাবসায়ী এবং মাদকসেবীকে এ্যারেষ্ট করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে জেল হাজতে পেরণ করলেন, কিন্তুু মাদক সম্রাটরা ঠিকই তাদের রমরমা ব্যাবসা ছালিয়ে যাচ্ছে,,, এতে করে কিছু সচেতন নাগরীকের গায়ে চুলকানী বেড়ে গেলো,,,তারা বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুললো চাটখিলে নাকি মামা/বড় ভাইদের দাপটে পুলিশ ছুপ ছাপ হয়ে বসে আছে, আরে ভাই এটা বুজেননা কেন অশ্ত্রধারী, মাদক ব্যাবসায়ীদের দল নেই,,,মামা/বড় ভাই নেই,,,এদের আছে শুদু সাইনবোর্ড, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এরা সব প্রতিকূল মূহুর্তকে অনুকুলে আনে, আর আইন তার নিজস্ব গতিতে ছলে, মামা/বড় ভাইয়ের ইশারায় ছলেনা। আচ্ছা ভাবুনতো পুলিশ হলেও ওরাও ত মানুষ, মানবিক মূল্যবোধ ওদের ও আছে, ওরাও কোন না কোন বাবা/মায়ের সন্তান,,,,কেউ ইচ্ছাকরে কারো জীবন নেয়না,,,আর কেউ ইচ্ছা করে কারও ক্ষতিও করেনা, তাই সুযোগ দিয়েছে, সতর্ক করছে, ফুল দিয়ে বরণ ও করছে, এখন তো আর সুযোগ দিবেনা।এইবার যদি পুলিশ মাদকসহ মাদক ব্যাবসায়ী/সম্রাট যা ই বলেননা কেন ২/৪টা ক্রস ফায়ার দেয়, তখন আবার আমাদের ই চেতনায় আগুন ধরবে,,,আমরা তখন বলবো পুলিশের মত খারাপ বাংলার বুকে নেই,,ইত্যাদি।কেউবা বলবে জুলুমের শিকার, কেউ বলবে বিরোধীদল নির্মুলের জন্য এগুলা করতেছে,,,,তখন আগের সতর্কবার্তা বা ফুলেল শুভেচ্ছার কথা আমরা ভুলে গিয়ে হুযুগীর রুপ টাই দেখাবো। আমরা কি একটু ভালো হতে পারিনা? আমি,আপনি,আমার সন্তান,আপনার সন্তান,আমার আপনার ভাই,চাচা,মামা,খালু, আমরাইতো মাদকের মহামিলনের মাধ্যমে সমাজের অধপতন ডেকে এনেছি, একটু লক্ষ করুণ ত আমার আপনার বাড়ির চারপাশে সীঁদকাটা, হাইজ্যাক, চুরী,ডাকাতী,,চাঁদাবাজী অতিতের তুলনায় হটাৎ করে কেন বেড়ে গেলো,, ৮/১০বছর বয়সী ছেলেগুলো হাটাৎ কেন নেতা হয়ে গেলো, মাদকের কারণে নয়তো? অভিবাদন চাটখিল থানার পুলিশকে, অভিযানের সাফল্য কামনা করছি, এবং সুখী সমৃদ্ধশীল সোনালী হাওায় মেতে উঠবে চাটখিল থানা এ প্রত্যাশা ই করি।
জনতার আলোশনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.