জনতার আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকের গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে সরকার নতুন নতুন আইন করে সবোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে ও মাদকের আগ্রাসন থেকে যুব সমাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সমাজ বিশ্লেষকদের ধারণা তার কারণ ও আছে বলে তারা মনে করেন।
তার মূল কারণ হচ্ছে মাদক নির্মূলে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যেই মাদক নির্মূলের মানসিক চিন্তা চেতনা না থাকায় অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে অঢেল সম্পদের মালিক হতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসিক সাপ্তাহিক উৎকোচ চূক্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দিয়ে মাদকের সহজলভ্যতা বিস্তার করে ।
মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ্ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করে তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করছেন।আর তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মন রক্ষার জন্য তার দায়িত্ব হিসেবে দুই একজন মাদক সেবী বা দিনমজুর যারা নাকি পুলিশের নাম শুনতেই হাত পা কাঁপে প্রতিবাদ যে করবে সেই নাগরিক অধিকার টুকু তার জানা নেই এমন লোকদের মাদক দিয়ে মামলা দিচ্ছে।যার ফলে পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নানা বিধ কৌশল অবলম্বন করে ও মাদককে জিরো টলারেন্স এ আনতে পারছেন না ।
তার পরেও প্রশাসনিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেষ্টার শেষ নেই তার ফলসরুপ তৈরি করেছেন পুলিশ অভিযোগ সেল যেখানে পুলিশের দ্বারা অন্যয় ভাবে হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা সরাসরি তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং এর তদারকিতে থাকবেন একজন ডিআইজি যিনি অভিযোগ অনুযায়ী দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাদক নির্মূল ও জনগণের মধ্যে পুলিশের সম্পর্ক বিদ্দি করতে প্রশাসনিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে উদ্দেগ গ্রহণ করেছেন তাতে জনগণ অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার থেকে পরিত্রাণের সুফল পাচ্ছেন কিন্তু অভিযোগ কারীরা এই সমস্ত অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিভিন্ন প্রকার হুমকির আতংকে থাকেন আবার কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে দূরে গিয়ে বসবাস করেন। সমাজ বিশ্লেষকদের সাথে একমত পোষণ করে বলতে হচ্ছে অসাধু পুলিশ সদস্যদের উৎকোচ গ্রহনের কারণে যে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না তার প্রমাণ রামপুরা থানার এই এস আই শীর্ষ উৎকোচ গ্রহন কারী অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা
তার উৎকোচ গ্রহনের সামান্য নমুনা গত মাসে মাটির মসজিদ এলাকার একটি খাবার হোটেল থেকে বিল্লাল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫২ পিস ইয়াবাসহ আটক করে এস আই শরীফ তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রামপুরা অগ্নিশিখা গলি থেকে তালিকা ভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফাকে দুই জিপার ইয়াবা ও নগদ ৪২ হাজার টাকা সহ আটক করে বিভিন্ন দেন দরবারের পর তার শাশুড়ির মাধ্যমে আরো ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রামপুরা
তিতাস রোডের মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুরের মাদক বিক্রেতা রায়হান এর কাছে ৯ পিস ইয়াবা পেয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রামপুরা নিরিবিলি গলির মাদক ব্যবসায়ী জনির কাছ থেকে নেয় ১৫ হাজার টাকা।
পূর্ব রামপুরা জামতলা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার আলামিনকে তার বাসা থেকে আটক করে সারারাত গাড়ীতে রেখে বিভিন্ন নির্জন জায়গায় নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রামপুরা লালমাটির মাট নামক এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মাসুমের এক মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা নেয়।
গত ১২ মার্চ গভীর রাতে মহানগর প্রজেক্ট থেকে মাদক সম্রাট লেংরা জাকিরের দুই ভাই রাকিব, সাকিব সহ মোট পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সারা দিন থানায় রেখে রাত আনুমানিক রাত ১০ টার সময় ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সোস সূত্রে জানা যায়।গত১৫ই মার্চ মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি জিসান সহ তিন জনকে আটক করে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।উলন ১২ নং বস্তি থেকে মিরাজ নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ১২ হাজার টাকা নেয় এবং তাকে ছেড়ে দেয়।
ভূঁইয়া গলি থেকে তালিকা ভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী পনিরের মাদক বিক্রেতা রফিককে আটক করে এই এস আই শরীফ দীর্ঘ সময় ধরে উৎকোষের দাম দরাদরি এক পর্যায়ে পনিরের বাবা ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে আনে। যেহেতু সাপ্তাহিক মাসোয়ারা দেওয়া হয়।
ওয়াপদা রোড হিরোন পয়েন্ট নামক স্থান হতে মাদক ব্যবসায়ী কসাই বাবুর একজন মাদক বিক্রেতা আটক করে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রামপুরার মাদক ব্যবসায়ী হিমেল এর মাদক বিক্রেতা আলামিনকে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।গত১৭ ই মার্চ মালিবাগ ডেন্টাল গলি থেকে তালিকা ভূক্ত একাধিক মামলার আসামি ও মাদক ব্যবসায়ী সজলকে আটক করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উত্তরা পূর্ব থানায় থাকাকালীন সময়ে ও এই অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জনহয়রানি সহ উৎকোচ গ্রহনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।
জনতার আলো/সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.