জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ :মান্দায় একের পর এক নকল সার,বীজ, এবং কীটনাশক তৈরীর কারখানার সন্ধান! এর দায় কার? মান্দার বৈদ্যপুর,পরানপুরের পর এবার হাজীগোবিন্দপুর গ্রামে নকল বীজ তৈরী কারখানার সন্ধান ।
মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজিগোবিন্দপুর গ্রামে অনেক দিন ধরে চলমান বিভিন্ন নামীদামী কোস্পানীর মোড়কে বাজারজাতকৃত নকল বীজ তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ধান এবং সরিষার বীজ,বিভিন্ন কোম্পানীর প্রায় তিন হাজারের মতো খালিপ্যাকেটসহ বিপুল পরিমান ধান এবং সরিষার বীজ,বিভিন্ন কোম্পানীর প্রায় তিন হাজারের মতো খালিপ্যাকেটসহ অন্যান্য উপকরন জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দিনব্যাপী সেখানে অভিযান চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ নকল বীজসহ হাজীগবিন্দপুর গ্রামের মৃত অাফজাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০), মৃত ভুট্টু ওরফে লুকার ছেলে রুবেল হোসেন (২৭),এবং চকগোপাল গ্রামের মৃত জামাতুল্লাহ’র ছেলে অাব্দুস সামাদ (৬৫) নামের তিন জনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, অনেকদিন ধরে দুইজনের দুইটি বাড়িতে তিনজন মিলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল এবং বাজারজাত করে আসছিলো। বাড়িটি দেলুয়াবাড়ি বাজার এলাকা থেকে একটু দূরে ও নির্জন এলাকায় হওয়ায় সেখানে কী তৈরি হচ্ছে এ বিষয়ে তারা অবহিত ছিলেন না।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে নকল সার ও বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানীর বীজ তৈরীর সত্যতা পাওয়া যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে রবিবার কারখানাটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ উপকরণ ও সরঞ্জামসহ কারখানাটির মূলহোতাসহ মোট দুইজনকে ঐ বাড়ি থেকে এবং একজনকে প্রসাদপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং কারখানাটির কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যান। যেটি কৃষকের সঙ্গে চরম প্রতারণা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হওয়া দরকার। তাদের বিরুদ্ধে নকল বীজ বাজারজাত এবং সররাহের অপরাধে প্রতারনার মামলা দায়ের করে উপযুক্ত শান্তির জন্য জেল হাজতে পাঠানো হবে।
এদিকে,রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম। সহকারী পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম বলেন কারখানাটির সন্ধান পাওয়া পুলিশের একটি বড় ধরনের সাফল্য।
কারখানার মালামাল জব্দ ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় দুইটি বাড়িতে নিয়ে অনেক দিন থেকে গোপনে অবৈধ কারখানাটিতে নকল বীজ তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল।
যেসব বীজ স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হতো। কারখানাটির সন্ধান পেয়ে অভিযান শুরু করে মান্দা থানা পুলিশের সিনিয়র এস অাই সাইফুল ইসলাম,এস অাই অামিরুল ইসলাম এবং এএস অাই মতিউর রহমান। এ সময় বিপুল পরিমান ধান ও সরিষার বীজ এবং প্যাকেটজাত করনেরর সাতটি মেশিনসহ তিন জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। দেশের নামীদামী ব্র্যান্ডের বীজের নাম ব্যবহার করে এসবের মোড়কীকরণ করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
জনতার আলো/সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.