জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে অবৈধভাবে লাইসেন্স গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে মান্দা উপজেলা বিএমডিএ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে এসও কফিল উদ্দিন এবং ম্যাকানিক মহসীন আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ার ভেতরে অবৈধভাবে ১ জন ব্যক্তি ১ টি পৃথক অগভীর নলকূপ স্থাপন করায় তা বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন মান্দা উপজেলার কৈবর্ত্যপাড়া গ্রামের মৃত আতোয়ার রহমানের ছেলে এবং গভীর নলকূপের মালিক নেফাউর রহমান। উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বরাবরে করা আবেদন উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যাবহার দেখিয়ে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গভীর নলকূপের ১৪শ ফুট দূরে আরো ১ টি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিাযোগে ভূক্তভোগী নেফাউর রহমান জানান, উপজেলার ১২ নং কাঁশোপাড়া ইউপি’র কৈবর্ত্যপাড়া মৌজার ১০২৩ নং দাগের গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ার মধ্যে ৮৩৯ দাগে অবৈধভাবে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে অবৈধভাবে লাইসেন্স গ্রহণের পর গভীর নলকূপের ১৪শ ফুট দূরে আরো ১ টি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
এ ব্যাপারে গত ৩ জানুয়ারি তিনি উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বরাবরে একটি আবেদন দাখিল করেন।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন দাখিলের ১২ দিন তদন্ত করে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবেদনকারী চরম হতাশায় ভূগছেন। তিনি গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়ার ভেতরে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে অবৈধভাবে লাইসেন্স গ্রহণের পর গভীর নলকূপের ১৪শ ফুট দূরে আরো ১ টি অগভীর নলকূপ স্থাপন করায় তা বন্ধের জন্য সেচ কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মান্দা উপজেলা বিএমডিএ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনতার আলো/ মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.