মিশরে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে: বিজিএমইএ সভাপতি


জনতার আলো প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ৭:৫১ অপরাহ্ন /
মিশরে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে: বিজিএমইএ সভাপতি

জনতার আলো, অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক : মিশরের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানে। মিশরে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহ আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি। এ সময় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায় নিয়ে রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের মধ্যে আলোচনা হয়। মিশরের বাজারে কীভাবে আরও বেশি রপ্তানি করা যায়, তার কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বিজিএমইএ’র চলমান কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন তিনি।

ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, এতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ভ্রমণ সহজ হবে। আগামীতে ঢাকা-কায়রো ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করি।

পারস্পরিক সুযোগ সন্ধানের জন্য বাণিজ্যিক প্রদর্শনী এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সফরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ফারুক হাসান। তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমির সহযোগিতা কামনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি মিশরীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সন্ধানের আহ্বান জানান।

এদিকে, মিশরে উৎপাদিত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ও কাঁচামাল বাংলাদেশে সরবরাহের ব্যাপারে মিশরের রাষ্ট্রদূত গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মিশরে বিভিন্ন দেশের পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা আছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে মিশরে কারখানা স্থাপন এবং সে সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং বিশিষ্ট মিশরীয় ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি পর্যটন নিয়েও আলোচনা হয়। তারা মিশরীয় পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বাংলাদেশি পর্যটকদের মিশর ভ্রমণে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেন।

জনতার আলো/মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩/শাহানা