জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ১১টি অভিযোগ। এসব মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তার প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। তার বিরুদ্ধে আনা সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে। খবর বিবিসির।
জনসাধারণকে উস্কে দেওয়ার এবং কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হলো। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয় ৭৬ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি পার্টি। ভূমিধস জয়ের পর তারা সরকার গঠন করে। কিন্ত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। সে সময় সু চি সহ অন্যান্য নেতাদের আটক করা হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত গৃহবন্দি রয়েছেন সু চি। এরপরেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, গোপনীয়তা লঙ্ঘন জনসাধারণকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনা হয় সু চির বিরুদ্ধে।
গৃহবন্দির পর থেকেই সু চিকে খুব একটা দেখা যায়নি। যদিও জান্তা সরকার দাবি করেছে যে, সু চি সুস্থ আছেন এবং এরই মধ্যে তাকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে। জনতার আলো/ সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.