জনতার আলো, মুন্সিগঞ্জ ব্যুরো ডেক্স রিপোর্ট : মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে চর শিলমান্দি গ্রামের খালের পূর্বপাড়ে এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮৯ সালে তৈরী হয় গুচ্ছ গ্রাম। ২২টি ঘর নিয়ে এখানে প্রথমে গুচ্ছ গ্রাম শুরু হলেও কালের সময়ে এখন এখানে প্রায় ৫০টিরও অধিক ঘরে গুচ্ছ গ্রামের লোক বসবাস করছে।
সেই সময় ২২টি ঘরের জন্য যে জায়গা দেয়া হয়ে ছিলো, বর্তমানে সেখানে নতুন করে কোন জায়গা না দেয়া হলেও সেখানে ঘর তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৫০টির অধিক ঘর তৈরি করা হয়েছে বলে গুচ্ছ গ্রামে বসবাসকারী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। বছরের পর বছর এখানে একেক ঘরে জন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন প্রজন্মের লোকজন নতুন করে আরো বসতি গড়ে তুলেছে গুচ্ছ গ্রামে। এর ফলে এখানে জন বহুল গ্রামে পরিণত হয়েছে গুচ্ছ গ্রাম। তবে এখানে জনবল বৃদ্ধি পেলোও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কোন সুযোগ সুবিধা বাড়েনি।
গুচ্ছ গ্রামের লোকজনের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে গবাধি পশু পালন। কিন্তু গবাধি পশু পালন নিয়ে এখানকার মানুষ বড় বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ হচ্ছে এটি মুন্সিগঞ্জ পৌর সভার একটি শহরতলীর গ্রাম। একটি খালের পূর্বপাড়ে হচ্ছে গুচ্ছ গ্রামের অবস্থান। বর্তমানে স্থানীয়রা নিজেদের টাকায় একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই পথে কোন রকমে গুচ্ছ গ্রামসহ এর আশপাশে বসবাসকারীরা পারাপার হচ্ছেন।
এখানকার নারী নেত্রী শিমু আক্তার এই প্রতিবেদকদের জানান, গবাধি পশু কখনো রোগশোকে আক্রান্ত হলে পশু চিকিৎসক এই পথে চলাচলের অসুবিধার জন্য গুচ্ছ গ্রামে সহসা আসতে চান না। এর ফলে চিকিৎসার অভাবে সেই সময় গবাধি পশুর মৃত্যু হয়। এর ফলে এখানকার মানুষেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, এখানে রাত্রিকালীন প্রসূতি মায়েরা সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হন। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন যে, গুচ্ছ গ্রাম থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তাটি অনেক নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই রাস্তা আবার পানিতে তলিয়ে যায়। সেই সময় কোন রকমে মানুষের বাড়ি ঘরের ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
তাছাড়া রয়েছে সাঁকোর বিড়ম্বনা। এই পথ পাড়ি দিয়ে সড়কে উঠলে রাতের কারণে কোন যানবাহনও ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে ততক্ষণে রোগির বারোটা বেজে যায়।
এছাড়া এখানে কোন ব্যক্তি যদি হঠাৎ ষ্টোকে আক্রান্ত হন, উল্লেখিত যাতায়াতের অসুবিধার কারণে চিকিৎসা না দিতে পারা কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় বলে গুচ্ছ গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেছে।
যাতায়াতের এই ধরণের অসুবিধার কারণে এখানে বিয়ের জন্য কোন ভালো পাত্র কিংবা পাত্রী সহসা আসতে চায় না বলে গুচ্ছ গ্রামের বসবাসকারী অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
এখানে গুচ্ছ গ্রামের ঘর ছাড়াও আরো এর আশপাশে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরের লোকজন বসবাস করছেন। তাড়াও এই পথে যাতায়াতে সময় এখানকার মানুষেরা নানা অসুবিধা ফেস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খালের পূর্বপাড়ে গুচ্ছ গ্রামে যেতে আঁকা বাঁকা সরু রাস্তার কারণে এই পথে চলাচলে অনেক অসুবিধা হয় এখানকার গ্রামবাসীদের।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.