জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ ও চোরাই পথে মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করে বৈধ আমদানিকারক ও দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিতে ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডাটাবেজ’(এনএআইডি) চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) আর্থিক সহায়তায় এনএআইডি চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিটিআরসি ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ সেবার উদ্বোধন করেন।
যেভাবে জানবেন আপনার সেট বৈধ কি না: নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে লেখা ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর এবং ব্যবহৃত মোবাইলের ক্ষেত্রে *#০৬# চেপে প্রাপ্ত ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর KYD ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেইজে সংরক্ষিত রয়েছে কিনা তা জানা যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এই ডাটাবেজ উদ্বোধন তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে একটি মাইলফলক মুহূর্ত। অবৈধ সেট আমদানি প্রযুক্তি ছাড়া অন্য কোনোভাবে ধরা সম্ভব না। সেটি এখন থেকে সম্ভব হবে। আমরা যত ডিজিটাল হচ্ছি ডিজিটাল অপরাধ প্রবণতা তত বাড়ছে। অপরাধের চরিত্র ডিজিটাল এবং এটি মোকাবিলার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার।
দেশে মোবাইল ফোন তৈরি হচ্ছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাদারবোর্ড তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এটিও হবে গর্বের বিষয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হতে একটি কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। ফাইভ-জি থেকেও এক মুহূর্ত দূরে থাকতে চাই না আমরা।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ডাটাবেজ তৈরি করলে অবৈধ বাজার বন্ধ এবং মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাই বন্ধ হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় সহজ হবে।
বিটিআরসির স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, আনুমানিক ৯ কোটি মানুষ ১৫ কোটি সিম ব্যবহার করে। এজন্য আনুমানিক ১০ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহার হয়। মানুষ ২৫-৩০ শতাংশ সেট অবৈধ বাজার থেকে কেনে। এতে সরকার ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। নিম্ন মানের সেট স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এই ডাটাবেজ তৈরি হওয়ায় রাজস্ব হারানো বন্ধ হবে এবং ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ে আসা হ্যান্ডসেট সম্পর্কে তিনি বলেন, কাস্টমসকে বলে সেট নিয়ে আসলে ট্যাক্সসহ বা ট্যাক্স ছাড়া রশিদ দেবে, তাতে ওইসব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা যাবে। যারা ইতিমধ্যে নিয়ে এসেছেন তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ, ভবিষ্যতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) স্থাপিত হলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবেন।
বিএমপিআইএ সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, এর মাধ্যমে মোবাইলের অসৎ ব্যবসায়ীরা আর থাকতে পারবে না। এতে দেশের টাকা দেশেই থাকবে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসির কমিশনার আমিনুল হাসান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.