জনতার আলো, মোঃ রিপন হাওলাদার/দেলয়ার হোসেন: রাজধানীর গুলশানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
গুলশানের হলিআটিজন রেস্তোরায় জঙ্গি হামলা ঘটনার পর থেকে সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের আবেদনের ভিত্তিতে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্য মহামান্য আদালতে অভিযোগ করলে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করলে রাজউক তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এদের উচ্ছেদ আর্থিক জরিমানা সহ প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেন।
ভবন ও প্রতিষ্ঠান মালিকরা প্রয়োজনীয় সময় চেয়ে আদালতে আপিল করলে মহামান্য আদালত তাদের দশ মাসের সময় দেন। আদালতের দেওয়া সময় অনুযায়ী গত ৫ মে যার সময় শেষ হয়ে গেলে ও এসব ব্যক্তিরা তাদের প্রতিষ্ঠান অন্যস্থানে স্থানান্তর বা যাদের সুযোগ রয়েছে আবাসিক থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বাণিজ্যিক করার কিন্তু তারাও এসব সুযোগ ব্যবহার না করে আদালতের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তাদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে আদালতের আদেশক্রমে রাজউক মহাখালী শাখার অর্থরাইজ অফিসার আদিলউজ্জামান জোন ৪ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ( রাজউক) খন্দকার অলিউর রহমান রহমানের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভাসাভি।
প্রোগেসেশ টাওয়ারের এথেনা ফার্নিচার সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, পানি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ করে গুলশানের দায়িত্বে থাকা রাজউকের পরিদর্শক মোঃজাহিদ ও সহকারী অর্থরাইজ অফিসার কায়সার পারভেজের সহায়তায় প্রতিষ্ঠান গুলোকে সীলগালা করা হয়।
সীলগালা করা প্রতিষ্ঠান ভাসাভির একজন কর্মচারীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমাদের এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এক বিঘা জমির উপরে করা এটিকে বাণিজ্যিকভাবে পরিবর্তন করতে হলে পরিবর্তন ফি প্রায় কয়েক কোটি টাকা মালিককে বহন করতে হবে।
আর এসব বাড়তি কোটি কোটি টাকা থেকে বাঁচাতে অসাধু ভবন মালিকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দিয়ে অসৎ উপায়ে আবাসিক ভবনে মহামান্য আদালতের আদেশ অমান্য করে বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিচ্ছেন যাহা রাজউক কতৃপক্ষ কখনোই বরদাস্ত করবে না এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় উচ্ছেদ ব্যবস্থা আব্যাহত থাকবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার অলিউর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান।
সীলগালাকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থরাইজ অফিসার আদিলউজ্জামান জানান নিয়ম অনুযায়ী তারা মহামান্য আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রক্রিয়া তাদের কার্যক্রমের আদেশ আনতে পারলে আমরা আমাদের কতৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে পূণরায় খুলে দিয়ে যাবো।
জনতার আলো/বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.