জনতার আলো, প্রান্ত পারভেজ তালুকদার: রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাধের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। পথরোধ করে মোবাইল ছিনিয়ে নিতে চাইলে না দেয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন ও পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম (পিপিএম বার)। ক্লুলেস মামলা, গ্যাং কালচার, মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে পল্লবী থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৯:৫৫ মিনিটের দিকে ভিকটিম রায়হান (২৬) ওরফে (রাজ) পল্লবী থানার বাউনিয়াবাধ ট্রাকস্ট্যান্ডের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় রাতুল (১৫) ও অনিক (১৬) সহ আরও কয়েকজন সেখানে পূর্বে থাকা অবস্থায় রায়হানকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পথরোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল নেয়ার সময় রায়হান বাধা প্রদান করে এবং কথা কাটাকাটি হয়। রাগে ক্ষোভে রাতুলের সাথে থাকা চাকু দিয়ে রায়হানকে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আহত হয়ে পড়ে থাকা রায়হানের চিৎকারে স্থানীয় উপস্থিতি দ্রুত হাসপালে নেয়। সেখানেই সে মারা যায়।
পরবর্তীতে মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিনের নির্দেশে পল্লবী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ কামাল ও পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলামের নেতৃত্বে থানার এসআই সজীব খান, এস আই আজগর আলী, এস আই কামরুল ইসলাম, এস আই জালাল, এসআই আতাউল ও এসআই আমিনুল সহ তিনটি চৌকস টিম তদন্তে নেমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারণ করা মূল আসামী রাতুল ও সহযোগী অনিক কে সনাক্ত করে, এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন। সে সময় রাতুল মদ্যপান অবস্থায় ছিল বলে জানাগেছে।
এর আগেও পল্লবী থানা পুলিশ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি, কিশোর গ্যাং এর মূলহোতা, বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী, কঙ্কাল চোর ও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ দমনে ডিএমপিতে শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবং এই থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কিছু অফিসার সুনামের সহিত ভালো কাজ করায় জোনের শ্রেষ্ঠ অফিসার ও ডিএমপিতে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবীর চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার ক্লুলেস থাকা সত্ত্বেও আসামি ধরতে সক্ষম হয়েছে।
এলাকার জনসাধারণ মনে করেন কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। একের পর এক ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে তারা। এলাকার এসকল অপরাধ নির্মূল করতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পরিবার ও এলাকায় বসবাসরত সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা দরকার। তাহলেই সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা সম্ভব।
জনতার আলো/ বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.