জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর পূর্ব রামপুরা ৯৮ নং ওয়ার্ডে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের দুই ভাইকে ঘিরে দূ্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠায় গোটা এলাকার জন্য তা আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে রামপুরা ৯৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারির পদ আঁকড়ে থাকা বিএনপি জামায়াত শিবিরের এজেন্ডা বিগত সময়ে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অন্যতম মদদ দাতা রাজনৈতিক খোলস পরিবর্তন কারী আমিনুল ইসলামই হচ্ছেন এই বাহিনীর মূল নিয়ন্ত্রক।
তথ্য সূত্রে জানা যায় এই আমিনুল এক সময়ে ফ্রিডম পার্টি পরে বিএনপির সাবেক নেতা ফরুর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ অপরাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিলো তার অতীতের সব পাপ কর্মকে মোচন করতে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলে প্রায় দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার আবির্ভাব ঘটায়। এই বাহিনী সেকেন্ড ইন কমান্ড তার ছোট ভাই যুব লীগ নামধারী চাউল স্বপন ওরফে ফ্রিডম স্বপনের আতংকেও তটস্থ থাকে রামপুরা এলাকায় বসবাসকারী মানুষ জন।
তাদের তত্বাবধানেই এলাকার জায়গায় জমি জবর দখল, চাঁদাবাজি ছিনতাই ,ডাকাতি , পতিতা মাদক বাণিজ্য পরিচালনা থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় বিক্রয়ের রমরমা বাণিজ্য গড়ে ওঠার অভিযোগ রয়েছে।
এই বাহিনীর সকল অপকর্মে লিপ্ত থাকা অস্ত্রধারী রিপন, সেলিম রেজা, আরিফ, মনির,জামিল আফছারি সহ ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র সদস্যদেরকে দিয়ে রামপুরা বাজার ও কুঞ্জবন বনশ্রী রোডে তাদের ইচ্ছেমাফিক চাঁদা উত্তোলন ফেন্সিডিল মাদক ইয়াবা সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে সূত্র মতে জানা যায়। রামপুরা এলাকার প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে এই বাহিনীর খুচরা মাদক বিক্রেতাদের অবস্থান।
সূত্র আরো জানায় গত মাস দেড়েক আগে আমিনুলের মাদক বিক্রেতা সালাউদ্দিনকে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে রামপুরা থানার মাদক নির্মূলের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দায়িত্ব পালন কারী এসআই কামরুল।পরে তার লোক আটকের খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান ইয়াবা গডফাদার আমিনুল। ওসি রামপুরার সাথে মোটা অংকের উৎকোচ বিনিময়ের একপর্যায়ে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
তার বাড়ীর চারিদিক ঘিরে রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা যার মাধ্যমে প্রশাসনের গতিবিধি আগাম লক্ষ্য করে দ্রুত সটকে পড়তে পারেন সহজেই।তবে রামপুরা থানার ওসি অপারেশন মনিরের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক।
গোপন সূত্রে আরো জানা যায় বেশ কয়েক জন ইয়াবা সেবন কারী গডফাদাররা প্রায়শই এই রাজনৈতিক খোলস পরিবর্তন কারী অসাধু আমিনুলের বাসায় এসে মাদক সেবন করে থাকেন যার প্রমাণ তার বাসায় স্থাপিত সিসি ফুটেজ দেখলেই প্রতিয়মান হবে।
আমিনুলের ইয়াবা সাম্রাজ্যের গডফাদারদের মধ্যে অন্যতম সদস্যরা হলেন বায়জিদ, ফয়সাল, লম্বু ফয়সাল , বিপ্লব পাটোয়ারী এর ভেতরে ফয়সাল শুধু ইয়াবা গডফাদারই নন তিনি ইসলামের সূন্নতি লেবাজ ধারণ করে ইয়াবা সেবন সহ মসজিদ কমিটির বড় নেতার দায়িত্ব পালন করছেন।বায়েজিদের সাথে এস আই সাঈদের রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক সেও ইয়াবা সেবনের উম্মাদনায় আসক্ত বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
এই বাহিনীর নেপথ্যের আরেক মূল নির্দেশ দাতা হিসেবে কাজ করছে বিএনপি আমলের দূর্ধর্ষ তালিকা ভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী যে নাকি ঘাতক স্বপন নামে পরিচিত, প্রবাসে থেকেই অপরাধ জগতের সকল কলকব্জা নিয়ন্ত্রণ করছে আমিনুল বাহিনীর মাধ্যমে।
ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে রামপুরা বাজারের মেইন সড়কটিতে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে দৈনিক মোটা অংকের চাঁদাবাণিজ্য করা হতো আর এসব দোকান গুলো বসানোর কারণে যানবাহন চলাচলে তীব্র জটিলতা সৃষ্টি হতো।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নির্দেশে যানচলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা ও চাঁদাবাজি বন্ধে এই বাহিনীর প্রবল বাঁধা আপত্তির মুখেও মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা কয়েকশ দোকান পাট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া সহ অলিগলি রাস্তা ও ফুটপাত দখলবাজদের হটিয়ে দেয়া হয় এবং বেশ কিছু দিন সেখানে পুলিশ পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়।
মেয়রের মৃত্যুর সাথে সাথেই আন্ডার ওয়ার্ল্ডের আশির্বাদ পূষ্ঠ প্রভাবশালী উচ্ছেদ বিরোধী এই চক্রটি পুণরায় ফুটপাত রাস্তা জুড়ে বাজার বসিয়ে তাদের চাঁদাবাজির অপতৎপরতা বজায় রেখেছে। শুধু চাঁদাবাজি মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেই ক্ষান্ত নেই এই বাহিনীর।
তাদের অত্যাচার নির্যাতন দখল বাজির হাত থেকে রক্ষা মিলছেনা সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি জমা জবর দখল ঘরবাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ উচ্ছেদের ঘটনায়ও রয়েছে বাহিনীর বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্রধারী এই বাহিনীকে চাঁদা না দেয়ায় নীরিহ মালাদাস , রাজিব বনিক,জায়েদা ইয়াসমিন সহ অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক রক্ষা কবজের অন্তরালে মাদক সাম্রাজ্যের মহাগুরু আমিনুলের নানা বিধ অপরাধের সত্যতা জানতে ৯৮ নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী একজন প্রবীণ নেতার সাথে আলাপকালে তিনি জানান স্বাধীনতার বিপক্ষের দোষররা যেমন স্বাধীনতার অর্জন মেনে নিতে পারেনি। তেমনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতিকে নস্যাৎ করতে বিগত সময়ে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপমার সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ সচেতনতার কারণে তাঁদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে সফল হতে না পেরে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্টরা নানা কৌশলে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন কমিটিতে প্রবেশ করে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বিএনপি জামায়াত শিবিরের উদ্দেশ্যকে সফল করতে লিপ্ত রয়েছে। কমিটি নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়া রাজনীতির নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিবর্গদের মতামত ব্যতিত অর্থ বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের সফলতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্টদের দলে অন্তর্ভুক্ত করলে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য মোটেও শুভকর নয় বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ০৭ জুন ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.