জনতার আলো, দিদারুল আলম (জিসান), জেলা ব্যুরো চীফ, কক্সবাজার: কক্সবাজার রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের আলী হোসেন সিকদার পাড়ায়, আজ ১৩/ ফেব্রুয়ারী বুধবার, সকাল আনুমান ১০.৩০ মিনিটের সময় ভয়াবহ আগুনে জলে পুড়ে ছায় হয়েছে, যৌথ বসবাস করা চারটি পরিবারের বসত বাড়ি।
তাছাড়া একটি আড়াই বছরের নাইছা নামক কন্যা শিশু নিহত হয়েছে! ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ইসলাম মিস্ত্রী জানান, তার চার সন্তান, আলাদা ভাবে চার ফ্যামেলী নিয়ে বসবাস করে। হটাৎ কিছু বুঝে উঠার আগে বিদ্যুতের লাইন নষ্ট হয়ে আগুনের সুত্রপাত হয়। সাথে সাথে আগুন চতুর্পাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারে থাকা সদস্যরা প্রাণ নিয়ে কোনরকম তড়িঘড়ি করে বের হতে পারলেও ঘুমিয়ে থাকা ছানা উল্লাহর মেয়ে নাইছাকে বের করতে ভুলে যায়। ফলে সে ভয়াবহ আগুনে নাইছা বিছানার মধ্যে পুড়ে মারা যায়। ঘর থেকে কোন কিছু বের করতে না পারায় নগত টাকা স্বর্নলংকার সহ বাড়ির দলিল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র মিলিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি সাধন হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসেন রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্ত লুৎফুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ চার পরিবারকে নগদ বিশ হাজার টাকা অনুদান দেন এবং প্রত্যেককে ঘর তৈরির জন্য ঢেউটিন প্রদান করবেন বলে আশ্বাস দেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারকে দেখতে আসেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনছুর। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং নিহত শিশুটিকে দাফন করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন কোম্পানী, চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, নুরুল হক কোম্পানী, মোহাম্মদ শাহ, সালেক, ইউপি সদস্য মোস্তাক, বেলাল সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ জনসাধারণ।
তারা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ আগুণে পুড়ে যাওয়া পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ও নিহত শিশুটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
জনতার আলো/বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.