জনতার আলো, দিদারুল আলম (জিসান), জেলা ব্যুরো চীফ, কক্সবাজার: কক্সবাজার এর রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তুলা বাগান কালার পাড়া এলাকায় মৃত করম আলীর পুত্র অসহায় দিনমজুর শামশুল আলম এর প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জাতী প্রজাতির মাছ ৯ই অক্টোবর রাতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সন্ত্রাসী জোরপূর্বক পানির মেশিন বসিয়ে পুকুর শুকিয়ে মাছ চিন্তাই করে নিয়ে গেছে।
শামশুল আলম জানান, এলাকার পরিচিত মীর কাশেমের চার পুত্র মনির আহমদ, হারুন, শহীদ উল্লাহ, ফারুক সহ ছেনুয়ারা বেগম ও দিলওয়ারা সবাই মিলে ১৫-২০ জন এসে আমি ও আমাদের পরিবারকে জিম্মি করে রেখে আমার চাষ করা মাছের ফিশারীতে মেশিন পানির বসিয়ে মাছগুলো লুটপাঠ করে নিয়ে যায়। রাত্রে আমরা এলাকার প্রতিবেশিদের অনেক ডাকডাকি করলেও রহস্যজনক কারণে কেউ এগিয়ে আসেননি ঘটনাস্থলে। সকালে আমি আমার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে ডেকে নিয়ে এসে সবাইকে আমার মাছের ফিশারীটি দেখাতে সক্ষম হই।
শামশুল আলমের স্ত্রী সালমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার একজন ছেলে অপারেশ করা অসুস্থ রোগী । আমরা বেসরকারী এনজিও থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে মেয়েদেরকে দু’মুটো ডালভাত খেতে দেব বলে আমারে স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রায় ৪০ শতক জমিতে মাছের চাষ করি। উপরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বারবার আমাদের সম্পত্তি থেকে অংশ পাবে বলে দাবী করে আসছিল এবং আমাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছিল। আমরা চাঁদা দিতে অসম্মত হওয়ায় আমাদেরকে জিম্মি করে মাছগুলো লুটপাঠ নিয়ে যায়।
স্থানীয় আব্দুল মজিদ মিজানুর রহমান, ফরিদুল আলম, ছৈয়দ আলম, সিরাজুল ইসলাম, মোঃ মুছা ও শামশুল আলমের মেয়ে রহিমা খাতুন সকলে জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ জানি মাছের ফিশারীর জমিটি শামশুল আলমের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং সে আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ সেখানে চাষ করেছেন বলে আমরা দেখেছি। রাত্রের আঁধারে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সমস্ত মাছগুলো চিন্তাই করে নিয়ে গেছে বলে আমরা সকালে জানতে পারি।
এদিকে শামশুল আলম আরো জানিয়েছেন, আমার মাছ যারা নিয়ে গেছে তাদের প্রত্যেককে আমি দেখেছি। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অন্যদিকে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনছুর প্রতিবেদককে মুটো ফোনে জানিয়েছেন, শামশুল আলমের ফিশারীর মাছ লুঠপাট করে নিয়ে গেছে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। আমি তাৎক্ষনিক একজন কর্মরত অফিসারকে তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থালে পাঠিয়েছিলাম। সুষ্ঠভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জনতার আলো/রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.