জনতার আলো, জেলা ব্যুরো চীফ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নোনাছড়ি আশকর খিল এলাকায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে চলছে সাধারণ জনগণের বসত-ভিটা দখলের চেষ্টা।
ইউপি সদস্য জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়েনের ১,২,৩ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফাতেমা বেগম। তার নেতৃত্বে চলছে এলাকার নিরীহ জনগণের বসত-ভিটা দখলসহ লোকজনের কাছ থেকে বিচার-সালিশ করে দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা।
ফাতেমা বেগমের নির্বাচনী এলাকার অনেকে জানান ফাতেমা বেগম কোন মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। এলাকার সাধারণ লোকের কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়ে তার নির্বাচনে খরচ করেছিলেন। তারপর উক্ত টাকা ফাতেমা মেম্বারের কাছ থেকে চাইতে গেলে লোকদেরকে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উক্ত ইউপি মহিলা সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, একই এলাকার আলম নূরের বসত ভিটা দীর্ঘদিন যাবৎ তার পাশের বাড়ির ভূমি দস্যু পেঠান আলী, স্ত্রী সিরাজ বেগম ও ছেলেরা। জানা যায়, স্থানীয় আলম নূর ঐ বসত ভিটায় দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। তার বাড়ীর নিচে বসবাস করে ভূমি দস্যু পেঠান আলী।
সে নিজে বর্তমানে পাহাড় কেটে বাড়ী তৈরী করেছে। তারপর থেকে আলম নূরের সীমানা কেটে তার বসত ভিটা আরো বড় করার লক্ষ্যে প্রতি বর্ষার মৌসুমে পাহাড় কাটতে থাকলে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে আলম নূরের মুরগীর ফার্ম ও ঘর ভেঙ্গে যাচ্ছ্।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রামু থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় সীমানা নির্ধারণের জন্য একাধিক বার সালিশ বৈঠক হলেও কোন মতে সালিশ মানতে রাজি হননি ভূমি দস্যু পেঠান আলী।
যদিও বৈঠকে বিচার মানবে বলে দিয়ে আসে কিন্তু দেখা যায় বৈঠক থেকে উঠে আসার পর পূর্বের মত আলম নূরের সীমানা কেটে তার বসত ভিটা বড় করতে থাকে। মদদ দাতা হিসাবে উস্কানি দিচ্ছে উল্লেখিত মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা মেম্বার।
মহিলা মেম্বারের উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং উভয় পক্ষকে ঝগড়া-মারামারি সৃষ্টি করে দিয়ে যে কোন এক পক্ষে গিয়ে মোটা অঙ্গের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।
আলম নূরের ছেলে হামিদুল আলম জানান, ফাতেমা মেম্বার নির্বাচনে খরচ করার কথা বলে নির্বাচনের সময় তার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল।
যতবার টাকা চাইতে যাই ফাতেমা মেম্বার হামিদকে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমাতে জড়িয়ে দিবে বলে বারবার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
স্থানীয় জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদে হামিদের টাকার বিষয় নিয়ে মহিলা মেম্বার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া আছে। এরকম আরো অসংখ্য লোকজনের কাছ থেকে অসৎ মহিলা মেম্বার টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ফাতেমা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
জোয়ারিয়ানালার নোনাছড়ি এলাকাবাসী জানান একজন মহিলা জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে একটি সালিশ বৈঠক সমাধান না করে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবসীরা আরও জানান উক্ত মেম্বারের বিরুদ্ধে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ,রামু উপজেলা এবং রামু থানাতে তারা স্মারক লিপি প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
মহিলা ইউপি সদস্যের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.