খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর গত বুধবার থেকে কর্মস্থলমুখী যাত্রীর চাপ দেখা দেয় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে করে অসংখ্য যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসেন। এখানে এসেই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। যাত্রীরা অভিযোগে জানিয়েছেন, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে স্পিডবোটে যাত্রীপ্রতি প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া ১৮০ টাকা হলেও আদায় করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। লঞ্চেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। আবার শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছেও একই অবস্থা। এখান থেকে ঢাকা-মাওয়া রুটে চলাচলরত বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা
হলেও আদায় করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর কাউন্টারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া কাটা হয়েছে ১০০ টাকা।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলাইমান জানান, ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি। তাই শিমুলিয়া ঘাট থেকে অল্প যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে যাত্রী বোঝাই করে আসছে। যাত্রী চাপের সুযোগ পেলেই ভাড়া বেশি আদায় করে সংশ্নিষ্টরা।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নির্ধারিত ভাড়া ৭০ টাকা হলেও যাত্রীর চাপ বেশির সুযোগে ১০০ টাকা নেন বাস মালিকরা। ঢাকা থেকে বাসগুলো খালি আসে বলে যাওয়ার সময় তা পুষিয়ে নিতে ৩০ টাকা বেশি নেন বলে বাস মালিকরা জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন মোটরযান অধ্যাদেশের একাধিক ধারার অপরাধে আপন পরিবহনের দুটি বাসকে ৫ হাজার ও ৪ হাজার করে এবং ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া আপন পরিবহনের একটি কাউন্টারও সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.