সাবেক মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের সম্পদ বেড়েছে ১৪ গুন!


জনতার আলো প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ৩:৫১ অপরাহ্ন /
সাবেক মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের সম্পদ বেড়েছে ১৪ গুন!

জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ : সাবেক মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের আয় ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ছয়গুণ। ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

১৯৭৩, ১৯৭৯ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন তিনি। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এমপি ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ উল্লেখ করেছেন। আয়ের উৎস হিসাবে কৃষিখাত, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, ব্যাংকে আমানত/সঞ্চয়, সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানি ভাতা ও অন্যান্য খাত উল্লেখ করেছেন তিনি। এসব উৎস থেকে এমপি ইমাজ উদ্দিনের বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ১০৪ টাকা। গত ১৫ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় এমপি ইমাজ উদ্দিনের অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা উল্লেখ্য করা হয়। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ১৭০ টাকা। বর্তমান ব্যাংকের নগদ জমা রয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ২২ হাজার ৫৮৫ টাকা। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ।

সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে এবারের হলফনামায় আয়ের উৎস উল্লেখ করেন কৃষিখাত, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, ব্যাংকে আমানত/সঞ্চয়, সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানি ভাতা ও অন্যান্য খাত থেকে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা আয় করেছেন। সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানি ভাতা ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কৃষি থেকে পেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার/আমানত থেকে পেয়েছেন ২০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় শেয়ার/আমানত থেকে ৮ লাখ ৯ হাজার ১০৪ টাকা। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ১২ হাজার টাকা ও কৃষি খাত থেকে ৪০ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হতো ইমাজ উদ্দিনের।

২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দাখিলের সময় ইমাজ তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ কোটি ২ লাখ ২২ হাজার ৫৮৫ টাকা আছে। ব্যাংকে জমা ১ কোটি ২ লাখ ২২ হাজার ৫৮৫ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামা দাখিলের সময় অস্থাবর সম্পদ হিসাবে নগদ ছিল ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাংকে জমা ৮ লাখ ৯ হাজার ১০৪ টাকা। আমানত ৭ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা। ২০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার মূল্য ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও তিনি ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্রের কথা উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে এমপি ইমাজ উদ্দিনের স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি ৬.৪২ একর। যার মূল্য ৯ লাখ ৬০ হাজার। অকৃষি জমি ৭২ শতক। মূল্য ২৫ হাজার টাকা। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট একটি। মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়াও ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮০ টাকা মূল্যে একটি মৎস্য খামার রয়েছে তার।২০০৮ সালে নির্বাচনে হলফনামা দাখিলের সময় তিনি ৭ লাখ ২১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন।

জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩/দানেজ