জনতার আলো, মোঃ মামুনুর রশীদ রাজেল, ব্যুরো চীফ, ফ্রান্স: প্রতি সাড়ে ৪ দিনে সারাবিশ্বের কোথাও না কোথাও একজন করে সাংবাদিক নিহত হচ্ছেন। গত ১০ বছরে নিহত হয়েছেন ৮৩৭ জন সাংবাদিক। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশে বিদেশে সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি ও কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও রয়েছেন নানাবিধ প্রতিকূলতার মুখে। ১৯৯২ থেকে এ পর্যন্ত দেশে ২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত সাংবাদিকদের পরিবারগুলো অর্থনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সাংবাদিক হত্যা ,নির্যাতন বাড়ছে, বিচারহীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা
“পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা, কখনও কখনও তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন পাবনা পৌর সদরের রাধানগর এলাকার পাওয়ার হাউস পাড়ায় সুবর্ণা নদী (৩২) নামে এক নারী সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সুবর্ণা নদী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি ও দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
“সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা”!
“মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার সচেতন বলে দাবি করলেও সাংবাদিক নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সাংবাদিকদের অসহায়ত্ব বাড়িয়ে চলেছে। তবে”,
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধে সাংবাদিক নেতারা এও মনে করেন।”সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির কারণেও সাংবাদিক হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনাগুলোতেউপযুক্ত বিচার পাওয়া যাচ্ছে না”।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সকল প্রকার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপ ও সংবাদকর্মীদের হয়রানি বন্ধসহ দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করা সরকারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার হওয়াও জরুরি।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.