জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, ব্যুরো চীফ: একটি সড়ক দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। গত ৪ বছর পূর্বে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মঙ্গলবার ১৩ তারিখ আজকের এই দিনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে গিয়ে মারাত্মকভাবে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক ও প্রকাশক, প্রান্ত পারভেজ তালুকদার।
কথায় আছে, রাখে আল্লাহ, মারে কে? তবে এটিও সত্য যে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কেননা, জীবনের জন্য চাই সুস্ততা। আর সমাজ বিনির্মাণে চাই সততা। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নিজের জীবন বাজী রেখে সমাজ এবং দেশের জন্য নিবেদীত প্রাণ হয়ে নিঃস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে আজ থেকে প্রায় ৪ বছর পূর্বে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হওয়া সত্ত্বেও আজ অবধি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে মনোবল না হারিয়ে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
আজকের এই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রান্ত পারভেজ ওই দিনের সড়কদূর্ঘটনার মূহুর্তের লোমহর্ষক ছমছমে পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ওইদিন বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে জনতার আলো পরিবারের টিম সংবাদ সংগ্রহের বিশেষ কাজে মোটরসাইকেল যোগে রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিরপুর থেকে গাজীপুরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিয়ে যাবার পথে টঙ্গী হোসেন মার্কেট নামক স্থানে আহাদ কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আমার মোটরসাইকেলে পেছন থেকে বাম সাইটে সজোড়ে ধাক্কা দিলে আমি গাড়ি থেকে পড়ে যাই। আর গাড়ি থেকে পরে যাবার পরে আমার বাম পায়ের উপর দিয়ে ওই গাড়িটির চাকা তুলে দিলে আমি মারাত্মকভাবে সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হওয়ায় আমাদের রেখে ওই গাড়িটির চালক এবং হেলপার পালিয়ে যায়। কিন্তু টঙ্গী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
পরবর্তিতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। দীর্ঘ প্রায় দু’মাস নিবির পরিচর্যায় সুস্থ হয়ে উঠি।কিন্তু শারিরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও আজ অবধি ওই দিনের কষ্ট আর স্মৃতি ভুলে থাকতে পারিনা। বেদনাদায়ক দিনটির কথা স্মৃতির পাতা হয়ে থাকবে। সম্পাদক জানান, রাজধানী ঢাকা শহরের ব্যাস্ততম রাস্তায় নিউজের কাজে দ্রুতসময়ে পৌঁছার তাগিতে ওইদিন মটর সাইকেল যোগে যাচ্ছিলাম আমরা। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস কপালের ফাঁড়া থাকলে যা হয় আর কি! এতো সাবধানতা অবলম্বন করে ধীরস্থিরভাবে রাস্তায় চলাফেরা করা, তারপরেও এমন দূর্ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো না। কেনোনা, মানুষতো আর ইচ্ছে করে কেউ এক্সিডেন্ট করে না। এক্সিডেন্ট এমনিতেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মনের অজান্তেই হয়ে যায়।কি আর করার যা হবার তা তো হয়েই গেছে।কিছু তো আর বাঁকি নেই! আল্লাহ যে, আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এইটাই হাজার হাজার শুকরিয়া।
তিনি জানান যে, হায়াৎ আছে তাই হয়তো বেঁচে আছি।তাছাড়া হয়তোবা বেঁচে থাকার কথা না। যেভাবে এক্সিডেন্টের স্বীকার হইছিলাম তাতে তো আমার বেঁচে থাকার কোনো কথাই ছিলো না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা।আসলে মানুষের বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্য্য।আর মরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুতরাং লাখোকোটি শুকরিয়া। তিনি আজকের এইদিনে সড়ক দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় হিতাকাঙ্ক্ষী, শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভান্যুধায়ী এবং সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন তিনি। আল্লাহ যেনো তাকে পরিপূর্ন সুস্থতা দান করুন।আমিন।
জনতার আলো/ রবিবা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.