জনতার আলো, মোঃ আবু সালেহ্ মুসা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার ৫নং হরিপুর সদর ইউনিয়নে তোররা সাতাহাজারা গ্রামে ১শ ফিটের ব্যবধানে একই নামে একই স্থানে মুখোমুখি গড়ে উঠেছে তোররা সাতাহাজারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি । ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় ৫নং হরিপুর সদর ইউনিয়নে তোররা সাতাহাজারা গ্রামে ১শ ফিটের ব্যবধানে একই নামে একই স্থানে মুখোমুখি তোররা সাতাহাজারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে গড়ে উঠেছে বিদ্যালয় ২টি । একটির স্থাপিত সাল দেখানো হয়েছে ২০০২ এবং অপরটির ২০০৯ সাল । বর্তমানে বিদ্যালয় ২টিতেই নিয়মিতভাবে পাঠদান চলছে । ২০০২ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টি টিন খর ও টিনের ছাউনি দিয়ে ৪টি কক্ষ তৈরী করা হয়েছে । এটির প্রধান শিক্ষক, মাসুদ রানা, সহকারি শিক্ষক শিক্ষিকা হলেন, সলাইমান আলী, রাজিয়া সুলতানা ও ফাতেমা খাতুন । ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩৭ জন ছাত্র/ ছাত্রী নিয়ে চলছে ২০১৮ সালের পাঠদান । স্কুলের সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, ২০০২ সালে তোররা সাতাহাজারা নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৩ শতক জমি দান করে রেজিষ্ট্রী করে দিয়েছি । সেখানেই পাঠদান চলছে । অপর বিদ্যালয়টি তোররা সাতাহাজারা নামে সেখানে স্থাপিত ২০০৯ সালে, ৩৩ শতক জমির উপর গড়ে উঠে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি । যার প্রধান শিক্ষক, মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা লাকী, হাসিনা কবির মুনি ও মারুফা বেগম । প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে মুন্জুরীপ্রাপ্ত হয়ে পাঠদানের অনুমতি পাই । সেসময় থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সুনামের সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি । ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫১ জন ছাত্র/ ছাত্রীর পাঠদানের কার্যক্রম নিয়ে চলছে বিদ্যালয় । প্রতি বছর সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্র/ ছাত্রীরা অংশগ্রহন করে, যার ফলাফল ও ভাল । বিদ্যালয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির নামে উক্ত স্থানে ৩৩ শতক জমি প্রতিষ্ঠানটির নামে রেজিষ্ট্রী করে দিয়েছি । সেখানে ঘর তৈরী করে চলছে স্কুলের পাঠদান । পূর্বে এখানে কোন বিদ্যালয় ছিলো না । প্রতিপক্ষরা ২০১৭ সালের শেষের দিকে আমাদের বিদ্যালয়টির সামনে ১শ ফিট দুরত্বে একই নামে হঠাৎ করে ঘর বানিয়ে স্কুল চালাচ্ছে । এর কারণ কি তা আমরা কেউ জানি না । এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে । এমতাবস্থায় স্কুলগামী ছাত্র/ ছাত্রীসহ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে । আমরা এর প্রতিকার চাই । এ বিষয়ে ঐ স্কুলের ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার মনজুরুল ইসলাম কে বললে উত্তরে তিনি বলেন, তোররা সাতাহাজারা নামে সেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে । যার প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান । এই বিদ্যালয়টিতে আমরা বই সরবরাহ করেছি । প্রতি বছর বিদ্যালয়টির ছাত্র/ ছাত্রীরা বার্ষিক ও সমাপনী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে । এখানে আর কোন বিদ্যালয় নেই । এই বিদ্যালয়ের পাশে অন্যেরা আর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বানিয়েছে । এর কোন প্রকার তথ্য ও কাগজপত্র আমাদের দফতরে নেই । প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানার স্কুলের কোন ছাত্র/ ছাত্রীর জন্য সরকারি বই সরবরাহ করা হয়নি । একই নামে একই স্থানে ১শ ফিটের মধ্যে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিভাবে চলছে, এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজার রহমান (চঃ দাঃ) এর জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন । আমি এখানে নতুন এসেছি এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে কিছু বলতে পারবো না । তবে আমার প্রতিনিধি সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এম.এ.এস রবিউল ইসলামকে কিছু বলতে পারেন, হয়তো কোন তথ্য পাওয়া যাবে । এ বিষয়ে এম.এ.এস রবিউল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালে তোররা সাতাহাজারা নামে স্থাপিত বিদ্যালয়টি হচ্ছে একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের মাধ্যমে এ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয় । ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি মন্জুরী পাঠদানের অনুমতি পায় এবং ডিআরভুক্ত হয় । ৩৩ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি নির্মান হয়ে সুনামের সাথে পাঠদান চলছে ।
জনতার আলো/সোমবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.