জনতার আলো, ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনকাল আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। হায়াতের বেশি কোনো মানুষই বাঁচতে পারে না। এটাই মহান আল্লাহ তাআলার সুমহান বিধান।
নির্দিষ্ট জীবনকাল অতিবাহিত করার পর মানুষকে আল্লাহ কাছে ফিরে যেতে হবে। কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পর পৃথিবীতে আগমনকারী সব মানুষকে হাশরের ময়দানে সমবেত করা হবে।
সেখানে মানুষের জীবনকালের সব কাজের হিসাব-নিকাশ করা হবে। যারা হিসাব গ্রহণের দিন সফলতা লাভ করবে এবং ডান হাতে আমলনামা লাভ করবে তারা হবে সফল। আর যারা জীবনকালের হিসাব প্রদানে ব্যর্থ হবে তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি।
মানুষের হিসাব গ্রহণের দিনের বর্ণনা দিয়ে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে সত্যের পথে চলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। মানুষের জীবনকালের হিসাব-নিকাশের বর্ণনাও ওঠে এসেছে এ হাদিসে-
হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,কেয়ামতের দিন (সব) মানুষকে ধবধবে সাদা রুটির মতো জমিনের ওপর একত্রিত করা হবে। তার মাঝে কারো কোনো পরিচয় থাকবে না। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
হিসাব নিকাশে দিনে মানুষের পেরেশানি এত বেশি থাকবে যে, তারা পরস্পরের দিকে তাকানোর কোনো সুযোগ পাবে না। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি কেয়ামতের দিন সব মানুষ নগ্ন (খালি) পায়ে উলঙ্গ শরীর নিয়ে খৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত হবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নারী-পুরুষ পরস্পর কি কারো দিকে তাকাবে না? তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘হে আয়েশা! (সে দিন) পরস্পরের দিকে তাকানোর চেয়ে বিষয়টা অনেক কঠিন হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং মানুষের উচিত পরকালের হিসাব-নিকাশ প্রদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে মনোনিবেশ করা। আল্লাহর একান্ত রহমত কামনা করা। কেননা সেদিন কোনো মানুষই তার রহমত ব্যতিত সফলতা লাভ করতে পারবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনের একান্ত রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে ডান হাতে আমলনামা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জনতার আলো/শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.