জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্যরা ভোট নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। এদিন বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রেস বিফ্রিং করে এই তফসিল ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে এসংক্রান্ত কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান, নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩৪৮ জন। সংসদ সদস্য ৩৫০ জন হলেও মৃত্যুজনিত কারণে দুটি আসন শূন্য রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন সিইসি। তারও একদিন আগে ভোটার তালিকা চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে ইসি। এরপর ভোটার ও বিভক্তি ভোটারের তালিকা ইসিকে দেয়া হয় বলে বুধবার জাগো নিউজকে জানান স্পিকার। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে মো. আবদুল হামিদ আবারও রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে ২৩ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষে পূর্ববর্তী ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে যে ৩০ দিন এই ৩০ দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে’। এ হিসেবে বুধবার ২৪ জানুয়ারি থেকে সময় শুরু হয়েছে।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.