জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যা দিবসের স্মরণে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত সারা দেশ অন্ধকারে থাকবে। কালো রাতের স্মরণে ব্ল্যাক-আউট (বাতি নিভিয়ে অন্ধকার) কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক এক সমন্বয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাতায়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডিপ্লোম্যাটদের ঢাকার গুলশান থেকে সাভার স্মৃতিসৌধে আনা-নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কুটনৈতিক এলাকতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। এবং কেপিআইসমূহে বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। সর্বোপরি ২৫ ও ২৬ মার্চ উপলক্ষে দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত, ১ মিনিটের জন্য সারা দেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট থাকবে। এটা যথাযথভাবে পালন করার জন্য আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। জরুরি স্থাপনা ব্যতিত সমস্ত বাংলাদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
কর্মসূচি কীভাবে পালন করা হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ বন্ধ করবে না। যার যার সুইচ আমরা নিজেরাই বন্ধ করব। এ বিষয়ে টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল অপরারেটরের মাধ্যমে এসএমএস পাঠানো হবে। কর্মসূচি পালন উপলক্ষে ওই দিন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্বাধীনতা দিবস পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফিরে আসার সময় কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, কূটনীতিকদের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২৫ মার্চ রায়ের বাজার স্মৃতিসৌধ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রতিবারের মতো এ সড়কগুলোতে কোনো ওভারহেড তোরণ নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোরদের সমাবেশের প্রবেশ ও বাহির পথে আর্চওয়ে নির্মাণ করা হবে এবং আগতদের ব্যাগ তল্লাশি করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।’
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের মো. শহিদুজ্জামান পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনতার আলো/রোববার, ০৩ মার্চ ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.