admin ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৮:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
তার ব্যাটিং টেকনিক, ব্যাটিং শৈলী নিয়ে তেমন নেতিবাচক কথাবার্তা নেই। অতিবড় সমালোচকও বলেন না যে, লিটনের ব্যাটিং ভালো না। নেতিবাচক আলোচনাটা মূলত হয়, তার শট নির্বাচন নিয়ে। ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ স্কুপ, স্লগ সুইপ বা রিভার্স সুইপ খেলে দৃষ্টিকুট আউট।

কতবার যে এভাবে আউট হয়েছেন, তা লিখেও শেষ করা কঠিন। ইনিংসের একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন মনে হয়, আজ লিটন ওয়েল সেট, বড় কিছু করবেন। ঠিক তখনই এমন ভুল করে উইকেট বিলিয়ে আসেন লিটন।
যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ বলে ৭৬ করেছিলেন, সেই ম্যাচেও অযথা থার্ডম্যানে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। আর শেষ ম্যাচেও ৩০-এর ঘরে গিয়ে অযথা বাতাসে ভাসিয়ে সুইপ শট খেলে আউট হয়েছেন। ওই শটটি অবলীলায় মাটি কামড়ে খেলা যেত। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার থাকার পরও লিটন আকাশে ভাসিয়ে খেলেন। যার পরিণতি, সাজঘরে ফেরা।
সেদিন কোনো চাপ ছিল না, বাংলাদেশ সহজ জয়ের পথেই ছিল। রানের তাড়াও ছিল না। তখন ওই শটের কোনই দরকার ছিল না। কিন্তু লিটন তার উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন চিরাচরিত নিয়মে। শট নির্বাচনে অদূরদর্শিতা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি ঠাউরে খেলতে না পারার কারণেই লিটনের ব্যাটে ধারাবাহিকতা আসেনি।
পরিপাটি টেকনিক আর ক্রিকেট ব্যাকরণের প্রায় সব শট খেলার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও লিটনের পরিসংখ্যান তেমন সমৃদ্ধ হয়নি। ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইকরেট কোনোটাই বড় ব্যাটারদের কাতারে নয়।
মোদ্দা কথা, ব্যাটার লিটনের যেখানে থাকার কথা ছিল, তিনি সেখানে যেতে পারেননি। আজ শনিবার প্রেস মিটে অনেক কথার ভিড়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের একটি উক্তি বলে দিলো, তিনি নিজেও নিজের ওপর অসন্তুষ্ট।
লিটন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘১০ বছর ধরে তো এভাবেই খেলতেছি। আর কত সেট করবো? পারফর্ম করতে পারছি না। এটা একটা জায়গা আছে (উন্নতির) যে, কন্টিনিউ পারফর্ম করি না। এটা আমি সবসময় চেষ্টা করছি। প্র্যাকটিসে কখনো কমতি ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ সিরিজেও ব্যাটার লিটন তাই রান করার তাগিদ অনুভব করছেন। তার কথা, ‘অধিনায়ক হিসেবে হোক বা ব্যাটার হিসেবে। প্রত্যেকটা সিরিজই খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন ব্যাটিংয়ে যাই। তখন তো আমি ব্যাটার থাকি, অধিনায়ক থাকি না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে ব্যাটিং করা, রান করা। প্রত্যেক ম্যাচে আমার এটাই চিন্তা থাকে। যতদিন ক্রিকেট খেলি, যদি ভবিষ্যতেও অধিনায়ক থাকি, একই চিন্তা থাকবে। চেষ্টা করব ব্যাটার হিসেবে মূল দায়িত্বটা পালন করতে।

















