admin ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৭:৫৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার সজীব ব্যাপারী (২৭) দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে চার আসামি এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (১৯ জুলাই) আসামি সজীব ব্যাপারীকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদিকে, রাজীব ব্যাপারীকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, ১৩ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোণা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে সজীব ব্যাপারী ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ১৪ জুলাই এ মামলায় তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৭ জুলাই আসামি টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারি ব্যবসা করতেন।

















